স্কুল সার্ভিস কমিশনের রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতি আর বেনিয়মের অভিযোগ। যোগ্য প্রার্থীদের চাকরি দেওয়া হয়নি বলে একগুচ্ছ অভিযোগ উঠেছে। কমিশনের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যেই সেই দুর্নীতির শিকড় খুঁজে বের করতে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আর এবার স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ সংক্রান্ত অন্য একটি মামলার শুনানিতে মিথ্যা কথা বলার অভিযোগ উঠল এসএসসি-র প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তি প্রসাদ সিনহার বিরুদ্ধে।
অভিযোগ, কমিটির বিশেষ বৈঠকের কথা স্বীকারই করেননি শান্তি প্রসাদ। আর সেই বৈঠক তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রীর ঘরে হয়েছিল বলে অভিযোগ। এ দিন নবম ও দশম শ্রেনির এই শিক্ষক নিয়োগের মামলায় ফের সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। নতুন করে এফআইআর করে তদন্ত শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।
এর আগে গ্রুপ ডি নিয়োগের ক্ষেত্রে লক্ষ্মী টুন্ডার করা মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তি প্রসাদ সিনহা সহ নিয়োগ কমিটির বাকি সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে সিবিআই। এবার এসএলএসটি নিয়োগে অনিন্দিতা বেরার করা মামলাতেই একই নির্দেশ দিল আদালত। লক্ষ্মী টুন্ডার মামলার সঙ্গে এই মামলা যুক্ত করা হয়েছে।
এই মামলার হলফনামায় দেখা যাচ্ছে, নিয়োগ কমিটি অন্তত দুই বা তার থেকে বেশি বৈঠক করেছিল। কিন্তু প্রাক্তন উপদেষ্টা সে কথা স্বীকার করেননি। তিনি বলেছিলেন, কোনও মিটিং হয় নি। বিচারপতি বলেন, শান্তি প্রসাদ সিনহা মিথ্যা কথা বলছেন কোর্টে। সাক্ষ্য দিতে দিতে গিয়ে বিভ্রান্ত করেছেন।
লক্ষ্মী টুন্ডার মামলাতেও এই শান্তি প্রসাদ সিনহাকে জেরা করছে সিবিআই। এবার নতুন করে এফআইআর করার নির্দেশ দেওয়া হল। শান্তি প্রসাদ সিনহা সহ কমিটির বাকিদের নতুন করে জেরা করবে সিবিআই। শুক্রবার সিবিআইকে মামলা দায়ের, তলব এবং জেরা সংক্রান্ত রিপোর্ট দিতে হবে। কী ভাবে এই মামলায় বেআইনি নিয়োগ হয়েছে, তা বোঝাতে ২৭ টি উদাহরণ দেওয়া হয়েছে এই মামলায়।
অভিযোগ, নিয়োগ কমিটি দুই বা তার বেশি বার বৈঠকে বসেছিলেন। সিবিআই-কে বাকি সদস্যরা সেই বৈঠকের কথা জানালেও বৈঠকের কথা অস্বীকার করেছেন শান্তি প্রদাস। শিক্ষামন্ত্রীর চেম্বারে বসে সেই বৈঠক হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। এমনকি সেই বৈঠকে নাকি কমিশনের চেয়ারম্যানকে থাকার অনুরোধ জানিয়েছিলেন শান্তি প্রসাদ। আদালত জানিয়েছে, এই তথ্য তদন্ত সাপেক্ষ। সিবিআই এ বিষয়ে তদন্ত করবে।
Be the first to comment