ফের SSKM হাসপাতালে সফল ভাবে কিডনি প্রতিস্থাপণ

Spread the love

কলকাতা: ফের SSKM হাসপাতালে হাসপাতালে অঙ্গ প্রতিস্থাপণ হলো। দীপ শিখা সামন্তের দান কারা ২ টি কিডনিতে প্রান ফিরে পেল দুটি জীবন। পূর্ব মেদীপুরের বাসিন্দা দীপ শিখা সামন্ত পথ দূর্ঘটনায় গুরুত্বর চোট পায়। এর পর দীপ শিখাকে SSKM হাসপাতালে ভর্তি করা হলে তার ব্রেন ডেথ হয়। পরিবারের তরফে এর পর দীপশিখা সামন্তের দেহ হাসপাতালে দান করে পরিবার। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, দীপ শিখার দেহের দুটি কিডনি দেওয়া হয় হাসপাতালে ভর্তি দুই রুগিকে। উল্টোডাঙ্গার বাসিন্দা দেবাশিষ মন্ডল ও সোনারপুরের বাসিন্দা কল্যানী ঝা কে তার দুটি কিডনি দেওয়া হয়। আজ সকালে তাদের সফল ভাবে দীপ শিখা দেবীর দুটি কিডনি প্রতিস্থাপণ করা হয়।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, দেবাশিষ মন্ডল ও কল্যানী ঝা এখন সুস্থ্ আছে । এই দুই জন কিডনির সমস্যায় প্রায় ৪ মাস ধরে SSKM হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।

দেবাশিষ মন্ডলের মা কবিতা মন্ডল বলেন, দীপশিখা সামন্তের পরিবারের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। আমার ছেলে নতুন প্রান ফিরে পেলো। আমরা খুবই গরিব। আমার ছেলে দেবাশিষ প্রায় ৫ মাস ধরে এই হাসপাতালে ভর্তি আছে। কাল হাসপাতাল থেকে ফোন করে এই কথা জানায়। আমার ছেলের সফল ভাবে কিডনি প্রতিস্থাপণ করা হয়।

হাসপাতাল এর ডিরেক্টর অজয় কুমার রায় বলেন, এখন দুই রুগিই সুস্থ্ আছেন। তবে তাদের ৪৮ ঘন্টা বিশেষ পর্যবেক্ষনে রাখা হবে।

কাল রাত ২ টা নাগাদ অস্ত্রোপচার শুরু হয়। শেষ হয় ভোট ৫ টায়। অঙ্গ প্রতিস্থাপণের ১২ ঘন্টা পরও এখন দুই রুগির অবস্থা পুরোপুরি স্থিতিশীল। ইউরিনও ঠিক ঠাক হচ্ছে। তাদের জ্ঞানও ফিরে এসেছে। তাদের লাইফ সাপোর্ট দেওয়া হয়েছে। আজ হাসপাতালে সাংবাদিক বৈঠকে এই কথা জানান SSKM হাসপাতালের ডিরেক্টর অজয় কুমার রায়।

তিনি বলেন, “ পূর্ব মেদনীপুরে বাসিন্দা দীপশিখা সামন্ত এর পরিবারকে হাসপাতালে যখন তাদের কন্যার ব্রেন ডেথ এর কথা জানানো হয়। তখন পরিবারের লোক তার দেহ দান করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহন করে। এর পর কাল রাত থেকেই SSKM হাসপাতালের পক্ষ থেকে তৎপরতা শুরু হয়”

তিনি বলেন, “ যে তুলনায় তামিললাডু, তেলাঙ্গানা, অন্ধপ্রদেশ সহ একাধিক রাজ্যে যে ভাবে অঙ্গ প্রতিস্থাপণ হয়। বা গ্রীন করিডোর করে কিডনি, হার্ট, লিভার প্রতিস্থাপণ হয়। সেই তুলায় আমাদের রাজ্যে এই পরিমানটা খুব কম। তাই এই অঙ্গ প্রতিস্থাপণটা সফল হবার পর আমাদের কাছে একটা নতুন রাস্তা খুলে গেলো। আমাদের রাজ্যে ২০১১ সাল থেকে অঙ্গ প্রতিস্থাপণ শুরু হয়েছিলো। ”

তিনি আরও বলেন, “ আমাদের কাছে প্রায় ৫ মাস ধরে এই দুই রোগী ভর্তি ছিলেন। কাল রাতে দুই পরিবারের লোককে খবর পাঠাই। কালই এই অঙ্গ প্রতিস্থাপণের বিষয়ে স্বাস্থ্য ভবন থেকে অনুমতি নেওয়া হয়। তার পর রাতেই একটি ১৫ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড তৈরি হয়। খুব দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় হাসপাতালের তরফে। এখনও অবধি দুই রুগির সুস্থ্ আছে ”

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*