বর্তমানে এসএসকেএম-এ রয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তবে ইডি একেবারেই সন্তুষ্ট নয়। সেই কারণে শনিবার রাত্রিবেলা হাইকোর্টে আবেদন করে ইডি। বিশেষ আদালতে শুনানি চেয়ে প্রধান বিচারপতির দ্বারস্থ হয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
এর আগে অর্থাৎ প্রথমবারের অর্ডারে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন কোনওভাবেই উডবার্নে ভর্তি হতে পারবেন না পার্থ চট্টোপাধ্যায়। পরবর্তী সময়ে দেখা যায় ডিভিশন বেঞ্চ মামলাটিকে প্রাথমিক ভাবে স্থগিতাদেশ দেয়। এরপর শনিবার জেরার সময় অসুস্থ হয়ে পড়েন রাজ্যের শিল্প মন্ত্রী। চলে যান এসএসকেএম-এ। সেখানেই সন্দেহ প্রকাশ করেছেন ইডি অফিসাররা।
এরপর শনিবার রাত্রিবেলায় তাঁরা আবেদন করেছিলেন যাতে সেসন বেঞ্চ বসানো হয়। সেই মোতাবেক মামলা দায়ের হয়ে গিয়েছে। রবিবার প্রধান বিচারপতি একটি বেঞ্চ গঠন করে দেবেন। সেই বিশেষ বেঞ্চেই এই শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগে একাধিকবার তাবড়-তাবড় নেতাদের জেরা চলাকালীন এসএসকেএম-এ ভর্তি হতে দেখেছেন রাজ্যবাসী। বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল থেকে শুরু করে কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র প্রত্যেকেই জেরা চলাকালীন ভর্তি হয়েছেন এসএসকেএম-এর উডবার্নে।
ফলত, ওয়াকিবহাল মহলের প্রশ্ন তাহলে কি প্রশ্ন এড়াতেই নেতারা ভর্তি হন উডবার্নে? এরপর শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার বিচার চলাকালীন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রথমবারের নির্দেশ অন্তত সেই দিকেই ইঙ্গিত করে।
বস্তুত, শনিবার সকালে গ্রেফতার হন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
তবে গ্রেফতারির আগে অসুস্থতা বোধ করতে থাকায় এসএসকেএম থেকে চিকিৎসকদের বিশেষ দল এসে তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন। তারপর পার্থকে নিজেদের হেফাজতে নেন ইডির আধিকারিক।
তবে ব্যাঙ্কশাল কোর্টে তোলার আগে পুনরায় তাঁর মেডিক্যাল চেকআপ করা হয়। এদিকে শনিবারও জেলা চলাকালীন সময় পার্থর রুটিন চেকআপ করে গিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। এদিকে শনিবার ব্যাঙ্কশাল কোর্টের বিচারক পার্থকে দুদিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ দেন।
Be the first to comment