আগামী মাসেই রাজ্য বিজেপিতে বড়সড় রদবদল, নতুন কমিটিতে মহিলাদের প্রাধান্য

Spread the love

আগামী মাসের গোড়ার দিকেই রাজ্য বিজেপির নতুন কমিটি ঘোষিত হতে চলেছে। নতুন কমিটিতে প্রাধান্য পেতে পারেন  মহিলা এবং যুব প্রতিনিধিরা। রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারে নেতৃত্বাধীন এই কমিটিতে জায়গা পেতে পারেন ৩১-৩২ জন। তার মধ্যে ৭ থেকে ৮ জন মহিলা সদস্য থাকবেন বলেই জানা গিয়েছে।

বুধবার দিল্লিতে সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন, “আগামী মাসের শুরুর দিকেই কমিটি ঘোষণা করা হবে। বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদে মহিলারা থাকবেন।” তবে এর চেয়ে বেশিকিছু জানাতে চাননি তিনি। আগের মতো ১২ জন সহ–সভাপতি, ৫ জন সাধারণ সম্পাদক, ১২ জন সম্পাদক, একজন কোষাধ্যক্ষ থাকবেন কমিটিতে। দলের পুরানো সদস্যদের পাশাপাশি অন্য রাজনৈতিক দল থেকে যারা বিজেপিতে এসেছেন তাদেরকেও কমিটিতে সমানভাবে জায়গা দেওয়া হবে। কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে আদি ও নব্য বিজেপির সমন্বয় রক্ষা করতে হবে। রাজ্য সভাপতিকে এই মর্মেই নির্দেশ দিয়েছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।

মঙ্গলবার রাতে বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন)  বি এল সন্তোষের সঙ্গে দীর্ঘ সময় ধরে বৈঠক করেছেন সুকান্ত। অন্য দল থেকে বিজেপিতে যোগদানকারী অনেকে পদ পাওয়ার পরও অন্য রাজনৈতিক দলে চলে গিয়েছেন, সন্তোষের সঙ্গে বৈঠকে সেই বিষয়টিও উঠে আসে। পদ পাওয়ার পরে কে চলে যেতে পারেন আর কে থাকবেন এই বিষয়টির বিবেচনা করে নয় বরং কার কী কর্মদক্ষতা রয়েছে সেই মাপদন্ডেই নতুন কমিটিতে সদস্যদের জায়গা দেওয়ার জন্যই সন্তোষ পরামর্শ দিয়েছেন বলেই বিশ্বস্ত সূত্রের খবর।

সন্তোষের সঙ্গে বৈঠকের আগেই সেদিনই বিজেপির তথ্য প্রযুক্তি বিভাগের প্রধান এবং রাজ্য বিজেপির দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় নেতা অমিত মালব্যর সঙ্গেও নতুন কমিটি গঠনের বিষয়ে সুকান্ত একপ্রস্থ আলোচনা সেরেছেন। নতুন কমিটির সদস্যদের নাম একপ্রকার পাকা হয়ে গিয়েছে। চলতি সপ্তাহেই শুক্রবারের পরে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার সঙ্গে একপ্রস্থ বৈঠক করবেন সুকান্ত। সেই বৈঠকের পরেই নতুন রাজ্য কমিটির নামের তালিকায় চূড়ান্ত সিলমোহর দেওয়া হবে।

নতুন কমিটির বিষয়ে আলোচনার পাশাপাশিই রাজ্যে বিজেপির আন্দোলনকে একেবারে নিচুতলা পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার জন্য কি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে সেই সংক্রান্ত রণকৌশল নিয়েও সন্তোষের সঙ্গে সুকান্তর আলোচনা হয়েছে। তাতে ভোট পরবর্তী হিংসার ইস্যুটিকে বিজেপি যে সবার সামনে রাখবেন তা মোটামুটিভাবে ঠিক হয়েছে। তৃণমূল যেভাবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গে দেখা করে ত্রিপুরার হিংসা নিয়ে অভিযোগ করেছে, সেভাবে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করে বাংলার ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে তাঁরাও সরব হবেন বলেই জানিয়েছেন সুকান্ত।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*