পাহাড়ের শিক্ষক নিয়োগেও কোর্টের প্রশ্নের মুখোমুখি রাজ্য সরকার

Spread the love

রোজদিন ডেস্ক, কলকাতা:- সুপ্রিম কোর্টের পর এবার শিক্ষকদের আরেক মামলায় আদালতের প্রশ্নের মুখে রাজ্য। গত সপ্তাহেই নিয়োগে দুর্নীতির জেরে ২০১৬ সালের গোটা প্যানেল বাতিল করে দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত। যার জেরে চাকরিহারা প্রায় ২৬০০০। সেই নিয়ে উত্তপ্ত আবহেই এবার একধাক্কায় ৩১৩ জন শিক্ষকের বেতন বন্ধ করতে চায় হাইকোর্ট।সোমবার জিটিএ-তে অর্থাৎ পাহাড়ে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির মামলা শুনানির জন্য উঠেছিল কলকাতা হাইকোর্টে। সেই মামলাতেই বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর নির্দেশ, ওই ৩১৩ জন শিক্ষকের বেতন বন্ধ করা হতে পারে। কিন্তু আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে রাজ্যকে ওই ৩১৩ জন শিক্ষকের সব তথ্য আদালতে জানাতে হবে বলেও কড়া নির্দেশ। ওই ৩১৩ জনের বেতন বন্ধ নিয়ে রাজ্যকে শেষ সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। না হলে আদালত বেতন বন্ধের নির্দেশ দিতে পারে। তাই তিন দিনের মধ্যে রাজ্যকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
আদালত সূত্রে খবর, কীভাবে ওই শিক্ষকদের নিয়োগ করা হয়েছে, তা জানানোর জন্য রাজ্যকে নির্দেশে দিয়েছিল হাইকোর্ট। তবে কোনও উত্তর মেলেনি।
সোমবার হাইকোর্ট সেই মামলায় সিআইডি স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দেয় উচ্চ আদালতে। তা দেখেই বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু রীতিমতো খেপে যান। ভর্ৎসনার সুরে বলেন, ”এক্ষুনি এই শিক্ষকদের বেতন বন্ধ করে দেওয়া উচিত। রাজ্য কেন এদের বেতনের ভার বহন করবে?” তাঁর আরও মন্তব্য, ”এই শিক্ষকদের ন্যূনতম প্রশিক্ষণ রয়েছে, কিন্তু এঁদের শিক্ষাগত যোগ্যতা কী? জিটিএ এখন যদি বলে, এঁদের পরিবার ও শিশুদের কথা চিন্তা করতে, তাহলে বাকি শিশুরাও তো ক্ষতিগ্রস্ত হবে।”
আইনজীবী শামিম আহমেদ বলেন, ৩১৩ জনের কেন বেতন বন্ধ করা হবে না, জিটিএ-কে সে ব্যাপারে জানাতে বলা হয়েছিল।
আগামী বৃহস্পতিবার এই মামলার পরবর্তী শুনানিতে আদালতের নির্দেশের পর রাজ্যের পরবর্তী পদক্ষেপ কি হল তা জানানোর কথা বলা হয়েছে।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*