শিল্পপতি ও ব্যবসায়ীদের স্বার্থে অগ্নিসুরক্ষার ছাড়পত্রে মাশুলের হার কমিয়ে দিলো সরকার। সোমবার নবান্নে অগ্নিসুরক্ষায় ছাড়পত্রের মাশুল হারের কথা ঘোষণা করেন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র ৷ তিনি জানান, প্রতিটি ক্ষেত্রেই ২০১৭ সালের নির্ধারিত মাশুলের তুলনায় ৯২ শতাংশ মাশুল কমানো হয়েছে ৷
নবান্নে অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র বলেন, বাড়ি, ধর্মশালা, গ্রন্থাগার থেকে শুরু করে হাসপাতাল, গবেষণা কেন্দ্র, বন্দর, শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোকে বেশ কয়েকটি শ্রেণিতে ভাগ করে অগ্নিসুরক্ষা মাশুলের হার কমানো হয়েছে ৷ কীভাবে এই মাশুলের হার কমবে, তার এটি তালিকা দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী ৷ তিনি বলেন, ১৪.৫ মিটারের বেশি উচ্চতাসম্পন্ন বাড়ি, ধর্মশালা, গ্রন্থাগার-সহ প্রভৃতির ক্ষেত্রে প্রতি বর্গফুটে আগে অগ্নিসুরক্ষা মাশুল দিতে হতো ৫৩ টাকা ৮০ পয়সা ৷ এবার তা কমিয়ে প্রতি বর্গফুটে মাত্র ৪ টাকা ৩৫ পয়সা করা হয়েছে।
একইভাবে হাসপাতাল, নার্সিংহোম ও গবেষণা কেন্দ্রের অগ্নিসুরক্ষা মাশুলের হার প্রতি বর্গফুটে ৮০ টাকা ৭০ পয়সা থেকে কমিয়ে ৬ টাকা ৫২ পয়সা করা হলো ৷ বন্দর, বাজার ও বড় শিল্প প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে অগ্নিসুরক্ষা মাশুল ১০৭ টাকা ৬০ পয়সা থেকে কমিয়ে করা হল মাত্র ৪ টাকা ৭০ পয়সা ৷ এছাড়া দাহ্য পদার্থ এবং রাসায়নিক দ্রব্য নিয়ে কাজ করা কারখানার ক্ষেত্রেও অগ্নিসুরক্ষা মাশুলের হার প্রতি বর্গফুটে ১৪১ টাকা থেকে কমিয়ে করা হল মাত্র ১৩ টাকা ৫০ পয়সা ৷
উল্লেখ্য, অগ্নিসুরক্ষা ছাড়পত্রের মাশুলের হার কমানোর জন্য দীর্ঘদিন ধরেই বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠান ও বণিকসভার পক্ষ থেকে রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন জানানো হচ্ছিলো। আর সেই আবেদনের ভিত্তিতেই পুজোর মুখে অগ্নিসুরক্ষা মাশুল হ্রাস করার মতো একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিলো অর্থ দফতর।
Be the first to comment