রোজদিন ডেস্ক :- সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগ নিয়ে মঙ্গলবার সু্প্রিমকোর্টে হলফনামা জমা দিল রাজ্য। গত ১৫ অক্টোবর আরজি কর মামলার শুনানিতে সিভিক ভলান্টিয়ারদের নিয়োগ নিয়ে রাজ্যের কাছে একাধিক প্রশ্ন জানতে চেয়েছিল সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ।
মঙ্গলবার দুপুরে ওই মামলার শুনানি রয়েছে। সূত্রের খবর, শুনানি শুরুর আগেই আদালতে হলফনামা জমা দিয়েছে রাজ্য। হলফনামায় জানানো হয়েছে, রাজ্যের স্বাস্থ্য কেন্দ্রে সিভিক পুলিশের সংখ্যা ৪ হাজার ৫২২ জন। একইভাবে রাজ্যের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৩৩৯ জন সিভিক মোতায়েন রয়েছে।
আরজি করে ডাক্তারি ছাত্রীকে ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় ধৃত সঞ্জয় রায় কলকাতা পুলিশের সিভিক ভলান্টিয়ার। শুধু আরজি কর নয়, অতীতেও একাধিক ঘটনায় বেআইনি কার্যকলাপে যুক্ত থাকার অভিযোগ উঠেছে সিভিক ভলান্টিয়ারদের একাংশের বিরুদ্ধে।
এ ব্যাপারে গত ১৫ অক্টোবর আরজি কর মামলার শুনানি চলাকালীন সিভিক ভলান্টিয়ারদের নিয়োগ নিয়ে সুপ্রিমকোর্টের একাধিক প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছিল রাজ্য সরকারকে।
সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগের পদ্ধতি, আইন মেনে আদৌ নিয়োগ হয়েছে কিনা, নিয়োগের যোগ্যতার মাপকাঠি কী ইত্যাদি ব্যাপারে আগেই প্রশ্ন করেছিলো শীর্ষ আদালত। প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় রাজ্যের কাছে এও জানতে চেয়েছিলেন, মাস শেষে কীভাবে বেতন দেওয়া হয় সিভিকদের? কোন প্রতিষ্ঠানে তাঁদের নিয়োগ করা হচ্ছে? আগে কারও বিরুদ্ধে অপরাধের ইতিহাস রয়েছে কি না?
মঙ্গলবার শুনানি শুরুর আগে হলফনামা আকারে এ ব্যাপারে পুঙ্খানপুঙ্খ তথ্য আদালতে জমা দিয়েছে রাজ্য। সূত্রের খবর, জমা দেওয়া হলফনামায় রাজ্যের তরফে বলা হয়েছে, সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগে রাজ্যের নির্দিষ্ট গাইডলাইন রয়েছে। তাঁদের কাজ পর্যবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছেন একজন সিনিয়র পুলিশ অফিসার।
কী কারণে সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগ, তার ব্যাখ্যাও দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের দাবি, পুলিশকে সহযোগিতার জন্যই সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগের ভাবনা। সিভিক ভলান্টিয়াররা কত বেতন পান, ক’দফায় তাঁদের বেতন বাড়ানো হয়েছে- এসবও উল্লেখ রয়েছে হলফনামায়। এমনকী রাজ্যের তরফে আদালতকে লিখিতভাবে এও জানানো হয়েছে, সিভিক ভলান্টিয়ারদের নিয়ে ইতিমধ্যে তিন মাসের ট্রেনিংও শুরু হয়েছে।
Be the first to comment