শনিবার বিকেলের পরেই রাজ্যে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় আম্ফান, সতর্কতা জারি করল আইএমডি। শুধু বাংলা না আম্ফানের প্রভাব পড়বে ওড়িশা ও আন্দামান নিকোবরেও।বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনী ও আটটি রাজ্যের প্রধান সচিবদের কাছে সতর্কবার্তা পাঠিয়েছে আইএমডি। সতর্কবার্তা পাঠানো হয়েছে আন্দামানেও।
একই সঙ্গে আইএমডি-র সতর্ক বার্তা জানাচ্ছে, শুক্রবার ও শনিবার ব্যাপক বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে আন্দামান নিকোবর দ্বীপে। ওড়িশার উপকূলবর্তী এলাকায় মঙ্গলবার ব্যাপক বৃষ্টির সম্ভাবনা। অন্যদিকে বুধবার ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা পশ্চিমবঙ্গে।
হাওয়া অফিসের থেকে মৎসজীবীদের ১৫ মে থেকেই সমুদ্রে নামতে বারণ করা হয়েছে। এই তিন এলাকার যে সব মৎসজীবী সমুদ্রে রয়েছেন তাঁদের অনতিবিলম্বে শনিবারের মধ্যে ফিরে আসতে বলা হয়েছে।
১৮ মে থেকে মাঝি ও জেলেদের জন্য জারি করা হয়েছে সতর্কতা। বলা হয়েছে উত্তর বঙ্গোপসাগরের যে সব সমুদ্র তট রয়েছে সে পশ্চিমবঙ্গ হোক কিংবা ওডিশা সর্বত্রই যেতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে হাওয়া অফিসের তরফে।
এরাজ্য সম্পর্কে হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, ১৯ তারিখ রাজ্যের সমুদ্র তীরবর্তী অঞ্চলে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। বৃষ্টির পরিমাণ হতে পারে ৭০ থেকে ১১০ মিলিমিটার। ২০ তারিখ গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের বহু জেলায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে বলে জানাচ্ছে হাওয়া অফিস। বৃষ্টির পরিমাণ হতে পারে ৭০ থেকে ২০০ মিলিমিটার।
আগেই স্পষ্ট নির্দেশ ছিল, ১৬ তারিখ পর্যন্ত বাংলায় এর কোনও প্রভাব পড়বে না। যা তাণ্ডব চলবে সমস্তটাই আন্দামানে। এই ঘুরে আসার সময় ঝড়ের অভিমুখ যদি বাংলার দিকে হয় তখন দক্ষিবঙ্গের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে এর প্রভাব পড়তে পারে। সেই সম্ভাবনা হয়তো কোথাও ধীরে ধীরে স্পষ্ট হচ্ছে। তাই হাওয়া অফিসের আগাম এই বার্তা।
Be the first to comment