শহরে ভেঙে পড়লো একাধিক গাছ-ট্রাফিক সিগন্যাল, সেন্ট্রাল এভিনিউতে বন্ধ যান চলাচল

Spread the love

পশ্চিমবঙ্গ উপকূল থেকে মাত্র ৯০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় আমফান। প্রবল ঝড়ের তোরে ইতিমধ্যেই কলকাতার একাধিক জায়গায় উপরে পড়েছে গাছ। ভেঙে পড়েছে ট্রাফিক সিগন্যাল। সেন্ট্রাল এভিনিউ-তে একদিকে যান চলাচল বন্ধ করল পুলিশ।

দুপুর তিনটে নাগাদ আবহাওয়া দফতর থেকে জানানো হয় কলকাতায় দুপুর আড়াইটে থেকেই ৭৯ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় হাওয়া বইতে শুরু করেছে। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, বিকেল চারটে পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন প্রান্তে ৩৫ টি গাছ ভেঙে পড়েছে। রেড রোড, নিউ আলিপুর, খিদিরপুর, যতীনদাস পার্ক, গড়িয়াহাট, পূর্ণদাস রোড, সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ, ট্যাংরা, সল্টলেকের সিডিও ব্লক ও বেহালার বহু জায়গায় গাছ পড়েছে।

গাছ ভেঙে পড়েছে কলকাতার নিউ আলিপুর,বালিগঞ্জ, গড়িয়াহাট, ময়দান, পশ্চিম বন্দর, হেস্টিংস, কসবা, চেতলা, ট্যাংরা, হরিদেবপুর, একবালপুর, উল্টোডাঙা সহ একাধিক এলাকায়। এছাড়া, ওয়েলিংটন, গড়িয়াহাট, চাঁদনি চক সহ শহরের চারটি প্রান্তে ট্রাফিক সিগনাল ভেঙে পড়েছে। কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, বেশ কিছু জায়গায় গাছ ভেঙে পড়া মাত্রই সেখান পৌঁছে গিয়েছে পুরসভার কর্মীরা। ট্রি কাটার দিয়ে শুরু হয় গাছ কেটে ফেলার কাজ।

তবে মুখ্যমন্ত্রী নবান্ন থেকে জানিয়েছে, এখন লক়ডাউনে বন্ধ যান চলাচল, রাস্তায় নেই জনপ্রাণী। কাটা নিয়ে তড়িঘড়ি ব্যবস্থা নেওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই। যে সব এলাকায় ঝড় তীব্রতর রূপ নিয়েছে সেখানে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

এদিকে, উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতে বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙে পড়েছে। বিদ্যুতের তারের ওপর গাছ ভেঙে পড়ায় ওই এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। উল্লেখ্য, মঙ্গলবারই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যবাসীকে নির্দেশ দিয়েছেন, বুধবার বেলা ১২টার পরে আর কেউ যেন ঘর থেকে না বেরোন৷

তিনি নিজে কন্ট্রোলরুমে থাকবেন সারা রাত৷ আমফান পরিস্থিতি মনিটর করবেন৷ ইতিমধ্যেই সুন্দরবন-সহ উপকূলবর্তী এলাকাগুলি থেকে মানুষদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে৷ দুর্যোগে সরকারি সাহায্যের জন্য নবান্নে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম নম্বর৷ নম্বরটি হল, ২২১৪৩৫৩৬ ও ২২১৪১৯৯৫৷ এ ছাড়া টোল ফ্রি নম্বর ১০৭০৷

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*