বিশেষ প্রতিনিধি,
বুধবার সন্ধে থেকে রাত পর্যন্ত উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, হরিয়ানা, পঞ্জাব এবং উত্তরাখণ্ডে তাণ্ডব চালিয়েছে ধুলোঝড়। জায়গায় জায়গায় পড়ে গিয়েছে গাছ, উপড়ে গিয়েছে বিদ্যুতের খুঁটি।
ধুলো ঝড়ে লন্ডভন্ড রাজস্থান৷ বাড়িঘর ঝড়ে ভেঙে গিয়েছে৷ বাড়ির উপর একাধিক গাছ উপড়ে পড়েছে৷ যার দরুণ বাড়িগুলির একাংশ ভেঙে গিয়েছে৷ ঝড়ের দাপটে একাধিক জেলায় মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ২৭ জনের৷ ঝড়ের দাপট সবচেয়ে বেশি রাজস্থানের আলওয়ার, ঢোলপুর এবং ভারতপুর জেলার বিস্তীর্ণ এলাকায়৷ ভারতপুর জেল থেকেই ১১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে৷
রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজে দ্রুত আধিকারিকদের ঝড়ে কবলিত জেলাগুলিতে সরকারি সাহায্য পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন৷ ঝড় ও প্রবল বৃষ্টিপাতে রাজধানী দিল্লির জনজীবন ব্যহত৷ বুধবার সন্ধ্যে নামতেই শুরু হয় ঝড় বৃষ্টি৷ হাওয়া অফিস জানিয়েছে, এদিন দিল্লিতে ঝড়ের গতিবেগ ছিল ঘন্টায় ৫৯ কিমি৷
উত্তরপ্রদেশে চলছে ঝড় ও ভারী বৃষ্টিপাত৷ সবথেকে বেশি মানুষ ঝড়ের বলি হয়েছে আগ্রাতে৷ শুধুমাত্র আগ্রাতেই ৩৬ জন মারা গিয়েছে৷ এছাড়া বিজনোরে তিন জন, সাহারানপুরে দু’জন এবম রায়বেরিলি, মোরারাবাদ ও রামপুরে একজন করে মারা গিয়েছে৷ ব্যাহত স্বাভাবিক জনজীবন৷ অন্ততপক্ষে ৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে৷
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ মৃতের পরিবারদের সমবেদনা জানিয়েছেন৷ সেই সঙ্গে মৃতের পরিবারপ্রতি চার লক্ষ টাকা এবং আহতদের ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণের কথা ঘোষণা করেছেন৷
উত্তরাখণ্ডে প্রবল বৃষ্টির জন্য সাময়িক ভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে চারধাম যাত্রা। ঝড়বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে পঞ্জাব, হরিয়ানা এবং দিল্লির জনজীবনও।
এদিকে ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এদিন টুইট্যারে লেখেন, ১৫০ টি পরিবার যাঁরা উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, অন্ধ্রপ্রদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গে প্রকৃতির রোষে নিজেদের প্রিয়জনকে হারিয়েছেন তাঁদের জন্য আমি চিন্তিত। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী সেই সব পরিবারের জন্য এদিন প্রার্থনাও করেন।
Be the first to comment