রাত পোহালেই প্রজাতন্ত্র দিবস। প্রজাতন্ত্র দিবসে ত্রিপুরা-সহ সমগ্র উত্তর পূর্ব ভারতে বনধ ডাকল ছয়টি স্থানীয় চরমপন্থী সংগঠন। চরমপন্থীদের ডাকা বনধ ঘিরে অশান্তির আশঙ্কা দেশের উত্তর-পূর্ব ভারতে। যদিও কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। যে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আঁটসাঁট করা হয়েছে। সকাল থেকেই বাড়তি নিরাপত্তা কর্মী মোতায়েন থাকবে বলে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে। দেশের সেনাবাহিনীকে হাই-অ্যালার্টে রাখা হয়েছে। বাংলার উত্তরেও অ্যালার্ট জারি করা রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, আগামীকাল রবিবার ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ১২ ঘণ্টার বনধের ডাক দিয়েছে ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্ট অফ ত্রিপুরা (এনএলএফটি), মেভালয়ের হাইনিত্রেপ ন্যাশনাল লিবারেশন কাউন্সিল (এইচএনএলসি), মণিপুরের কাংলেই ইয়াওল কান্না লুপ (কেওয়াইকেএল), কাংলেইপাক কমিউনিস্ট পার্টি (কেসিপি), অসমের পিপলস ডেমোক্র্যাটিক কাউন্সিল অফ কারবি লোংরি (পিডিসিকে) ও কামতাপুর লিবারেশন অর্গানাইজেশন (কেএলও)।
ইতিমধ্যে এই বিষয়ে বনধ পালনকারীরা তাদের তরফে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। যেখানে এই সংগঠনের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে যে, ভারতীয় সংবিধান উত্তর পূর্বের বাসিন্দাদের প্রজাতান্ত্রিক স্বাধীনতা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। আর সেই কারণেই এই বনধ ডাকার সিদ্ধান্ত বলে এই ছটি চরমপন্থী সংগঠনের তরফে দাবি করা হয়েছে।
ত্রিপুরার অতিরিক্ত ডিজি (আইন শৃঙ্খলা) রাজীব সিং বলেন, ‘বিষয়টি সম্পর্কে আমরা সচেতন। আমরা সতর্ক রয়েছি।’ আগামীকাল রবিবার দেশের ৭১ তম প্রজাতন্ত্র দিবস। আর প্রজাতন্ত্র দিবস ঘিরে গোটা দেশজুড়ে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। নিরাপত্তার মোড়কে মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা দেশকে।
Be the first to comment