সাতসকালেই উদ্ধার হয়েছে বিজেপি নেতার ঝুলন্ত দেহ। খুন না আত্মহত্যা, তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। যদিও ইতিমধ্যে ঘটনায় সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার। এদিন সকালে রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয় ওই বিজেপি বিধায়কের। এই ঘটনার পরই পরিবারের অভিযোগ, খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে ওই ব্যক্তিকে। এছাড়া, বিজেপি নেতাদের দাবি খুন করে আত্মহত্যার ছক সাজানো হচ্ছে। দিলীপ ঘোষ, রাহুল সিনহা, বাবুল সুপ্রিয়র মত নেতারা সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
তবে এই ঘটনার প্রতিবাদে জেলাজুড়ে বনধের ডাক দিয়েছে জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। উত্তর দিনাজপুর জেলাজুড়ে ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে। সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এই বনধের ডাক দেওয়া হয়েছে। এমনটাই জেলা সূত্রে জানা গিয়েছে।
বিধায়কের খুনের ঘটনার প্রতিবাদ এবং ঘটনার সিবিআই তদন্ত চেয়ে এই বনধের ডাক দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় বিজেপির তরফে জানানো হয়েছে যে, যেভাবে আমাদের বিধায়ককে খুন করা হয়েছে তার সিবিআই তদন্ত চাই। আগামদিনে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে জেলাজুড়ে বড়সড় আন্দোলনের ডাক স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের।
জানা যাচ্ছে, ঘটনার পর পুলিশের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। অন্যদিকে, আগামিকাল বিজেপির ডাকা বনধ ঘিরে যাতে কোনও অশান্তি না হয় সেজন্যে বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হচ্ছে। জেলাজুড়ে পুলিশ পিকেটিংয়ের ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। এমনটাই জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, রহস্যজনকভাবে মারা গেলেন উত্তর দিনাজপুরের হেমতাবাদের বিজেপি বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায়। বাড়ি থেকে এক কিলোমিটার দূরে এক বন্ধ দোকানের বারান্দা থেকে উদ্ধার হয়েছে তাঁর ঝুলন্ত দেহ। পরিবার অভিযোগ করেছে, তাঁকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে।
তবে দেবেন্দ্রনাথ রায়ের পরিবারের দাবি, গতকাল রাত ১টা নাগাদ কয়েকজন মোটর বাইক আরোহী তাঁকে বালিয়ার বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যান। আজ সোমবার সকালে বালিয়া মোড়ে একটি বন্ধ দোকানঘরের বারান্দা থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। স্থানীয়দের দাবি, রাত দশটা পর্যন্ত দেবেন্দ্রনাথবাবু স্থানীয় চায়ের দোকানে ছিলেন। তারপর রাত একটা নাগাদ একটি মোটর বাইক তাঁর বাড়ির দিকে যায়। এ ব্যাপারে সিবিআই তদন্ত চেয়েছেন তাঁরা।
বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষও অভিযোগ করেছেন, দেবেন্দ্রনাথকে খুন করা হয়েছে। পরিচিত লোকেদের ডাকে তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। তা না হলে রাত একটায় কেউ বাড়ি থেকে বার হয় কি? আত্মহত্যা করলেই হাতই বা বাঁধা কেন প্রশ্ন দিলীপের। তাঁর দাবি, স্থানীয় এক যুব তৃণমূল নেতার হাত রয়েছে এতে।
Be the first to comment