আর পাঁচটা বনধ-ধর্মঘটে যা হয়, এ বারও তার অন্যথা হলো না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার যেমন বনধে কাজে যোগ না দিলে সরকারি কর্মচারীদের জন্য কী কী ব্যবস্থা নেবেন তার বিজ্ঞপ্তি জারি করে, ১০ সেপ্টেম্বরের বনধ নিয়েও শুক্রবার তা জারি করে দিল নবান্ন । কিন্তু রাজনৈতিক মহলের মতে, সার্কুলার জারি হলেও নবান্নের শরীরী ভাষায় নেই সেই ঝাঁঝ ।
সোমবার পেট্রপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধে, দেশব্যাপী বনধের ডাক দিয়েছে কংগ্রেস এবং পাঁচটি বামদল। শুক্রবার দুপুরেই তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করে দলের মহাসচিব তথা শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘোষণা করে দেন, “আমরা বনধের ইস্যুগুলিকে সমর্থন করি। কিন্তু বনধকে নয়।” যদিও তৃণমূলের তরফে ওইদিন শহর কলকাতা সহ জেলায় জেলায় কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ কর্মসূচিও ঘোষণা করেন পার্থবাবু।
একদিকে বিজেপি-র বিরুদ্ধে বনধ বিরোধিতায় বেশি সক্রিয় হলে মোদী বিরোধী আন্দোলনে দিদির ইমেজ খারাপ হতে পারে। কারণ, পেট্রল-ডিজেল-রান্নার গ্যাসের দাম বৃদ্ধির মতো স্পর্শকাতর ইস্যুতে বনধ ডেকেছে কংগ্রেস এবং বাম দলগুলি। আবার উল্টোদিকে, বনধে একটা কিছু ব্যবস্থা না নিলে কর্মসংস্কৃতির জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘নো কম্প্রোমাইজ’ অবস্থানও প্রশ্ন চিহ্নের মুখে পড়বে। ফলে উভয় সংকটে পড়েই দায়সারা গোছের এই বিজ্ঞপ্তি জারি দেখে অনেকেই বলছেন, “দিদিও মনে মনে চাইছেন মোদীর বিরুদ্ধে বনধটা হোক।”
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, অন্যবার যেমন পুলিশ প্রশাসনকে সক্রিয় হতে দেখা যায় তেমন এখনও শুরু হয়নি। পরিবহণ দফতর বাড়তি বাস চালানোর অতি সক্রিয়তা দেখাচ্ছে না। সব মিলিয়ে বোঝাই যাচ্ছে, নবান্ন অন্যবারের মতো অতটা করা নয় এ বারে হরতালে।
Be the first to comment