কথা রাখলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বাংলায় চালু হলো স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড

বাংলায় দুটো ক্যান্সার হাসপাতাল তৈরির কথা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী

Spread the love

কথা রাখলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার পড়ুয়াদের জন্য স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড চালু করা হল। এই কার্ডের মাধ্যমে ১০ লাখ টাকার ঋণ নিতে পারবেন পড়ুয়ারা। সরকার এই প্রকল্পের গ্যারান্টার হবে বলে জানান মমতা।মাধ্যমিক থেকে পোস্ট ডক্টরেট পর্যন্ত পড়ার জন্য মিলবে এই ঋণ। ঋণ শোধ করার জন্য ১৫ বছর পর্যন্ত সময় পাওয়া যাবে। ৪০ বছর পর্যন্ত এই সুবিধা মিলবে। রাজ্যের সব ব্যাঙ্ক থেকে এই ঋণ মিলবে। অনলাইনে সহজেই আবেদন করা যাবে।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘ছাত্রছাত্রীরা আমাদের গর্ব। আগামী দিনে দেশের মুখ ছাত্রছাত্রীরাই উজ্জ্বল করবে। তাঁদের স্বপ্ন যাতে বাস্তবায়িত হয়, সে কারণেই এই প্রকল্প। এই কার্ড আনতে পেরে আমরা গর্বিত। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় বসতে গেলেও এই ঋণ মিলবে। ছেলেমেয়ের পড়াশোনার জন্য বাবা-মাকে চিন্তা করতে হবে না আর’। এই কার্ড নিয়ে যাতে কেউ প্রতারণা না করেন, সে ব্যাপারেও সতর্ক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এজন্য শিক্ষা দফতরকে সতর্ক থাকতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের ট্যাব দেওয়া হচ্ছে।

উল্লেখ্য, একুশের নির্বাচনী প্রচারে পড়ুয়াদের জন্য ক্রেডিট কার্ডের কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। ভোট মেটার পর তৃতীয় বার ক্ষমতায় আসার পর সেই প্রতিশ্রুতিই পূরণ করলেন। এদিকে, সবুজসাথী প্রকল্পে আগামী নভেম্বরের মধ্যে ১২ লাখ সাইকেল দেওয়া হবে বলে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। ২০২১ সালে নবম শ্রেণির ৯ লাখ পড়ুয়াকে সাইকেল দেওয়া হবে। ২০২০ সালে নবম শ্রেণির ৩ লাখ পড়ুয়া সাইকেল পাবে।

অন্যদিকে, বাংলায় দুটো ক্যান্সার হাসপাতাল তৈরি করা হবে বলে জানালেন মমতা। এদিন নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলায় দুটো ক্যান্সার হাসপাতাল হবে। SSKM ও উত্তরবঙ্গে ক্যান্সার হাসপাতাল তৈরি করা হবে’। করোনা ভ্যাকসিন প্রসঙ্গে মমতা বলেন, ‘রাজ্যে ২ কোটি ১৭ লাখ ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। ভ্যাকসিন নিয়ে যা হয়েছে তা বিচ্ছিন্ন ঘটনা। ৩ কোটি ভ্যাকসিন চেয়েছিলাম, পাইনি। ১৮ লাখ ডোজ রাজ্য কিনেছে। ৫৯ কোটি টাকা দিয়ে ভ্যাকসিন কিনেছি। ভ্যাকসিন প্রয়োগে বাংলা প্রথম’।

কীভাবে ঋণ বা লোনের জন্য অনলাইনে আবেদন করবেন?

১) রাজ্য সরকারের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট (www.wb.gov.in) বা banglaruchchashiksha.wb.gov.in-তে যান। অথবা সরাসরি https://wbscc.wb.gov.in/-তে যান।

২) ‘Student Registration’-এ ক্লিক করুন।

৩) একটি নয়া পেজ খুলে যাবে। সেখানে বিভিন্ন তথ্য দিতে হবে।

৪) সেখানে নিজের নাম, ঠিকানা, মোবাইল নম্বর, ইমেল আইডি-সহ বিভিন্ন তথ্য দিতে হবে। আধার কার্ড থাকা বা না থাকার ভিত্তিতে সেই রেজিস্ট্রেশন ফর্ম ভিন্ন হবে। পাসওয়ার্ডও দিতে হবে। তারপর ‘Register’-এ ক্লিক করতে হবে।

৫) যে ফোন নম্বর দেওয়া হয়েছে, তাতে ওটিপি যাবে। সেই ওটিপি লিখে ‘Verify’ করতে হবে।

৬) রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হলে স্ক্রিনে একটি ‘Registration ID’ আসবে। ফোনেও লগইন সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য পাঠানো হবে।

৭) wbscc.wb.gov.in/ -তে গিয়ে Student Login-তে ক্লিক করুন। নয়া একটি পেজ খুলে যাবে।

৮) সেই রেজিস্ট্রেশন আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করতে হবে। 

৯) ‘Dashboard’ খুলে যাবে। সেখানে ‘Apply Now’-তে ক্লিক করুন।

১০) একটি নয়া পেজ খুলে যাবে। সেখানে বিভিন্ন তথ্য দিতে হবে। আধার কার্ড থাকা বা না থাকার ভিত্তিতে সেই রেজিস্ট্রেশন ফর্ম ভিন্ন হবে। পাশাপাশি ‘Download Undertaking Documents’ থাকবে। পড়ুয়াদের প্যান কার্ড না থাকলে ‘Download Undertaking Documents’ ডাউনলোড করতে হবে। ঠিকানা, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট-সহ যাবতীয় তথ্য দেওয়ার পর ‘Save & Continue’ করুন।

১১) তারপর একটি নয়া পেজ খুলে যাবে। আধার কার্ড থাকা বা না থাকার ভিত্তিতে সেই ফর্ম ভিন্ন হবে। আধার কার্ড থাকলে সেখানে আবেদনকারীর ছবি, সহ-আবেদনকারীর ছবি, আবেদনকারীর স্বাক্ষর, সহ-আবেদনকারী বা অভিভাবকের স্বাক্ষর, আধার কার্ড, সহ-আবেদনকারীর ঠিকানার প্রমাণপত্র (ভোটার আইডি), আবেদনকারীর ভরতির রসিদের ছবি, প্যান কার্ড, সহ-আবেদনকারীর প্যান কার্ড, আবেদনকারীর কোর্স ফি সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় নথি আপলোড করতে হবে। 

আধার কার্ড না থাকলে সেখানে আবেদনকারীর ছবি, সহ-আবেদনকারীর ছবি, আবেদনকারীর স্বাক্ষর, সহ-আবেদনকারী বা অভিভাবকের স্বাক্ষর, দশম শ্রেণির রেজিস্ট্রেশন, সহ-আবেদনকারীর ঠিকানার প্রমাণপত্র (ভোটার আইডি), আবেদনকারীর ভরতির রসিদের ছবি, প্যান কার্ড, সহ-আবেদনকারীর প্যান কার্ড, আবেদনকারীর কোর্স ফি সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় নথি আপলোড করতে হবে।

১২) যাবতীয় নথি আপলোডের পর ‘Save & Continue’ করুন।

১৩) একটি নয়া পেজ খুলে যাবে। সেখানে যাবতীয় নথি এবং তথ্য মিলিয়ে দেখে নিন। তারপর ‘Submit Application’ ক্লিক করুন। কোনও তথ্য বা নথি পরিবর্তন করতে হলে ‘Edit Loan application’-এ ক্লিক করতে হবে। একবার সাবমিট হয়ে গেলে তথ্য পালটানো যাবে না।

১৪) তারপর ‘Dashboard’-এ দেখাবে ‘Application Submitted to HOI’। তার অর্থ হল যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানের কাছেই আবেদনপত্র চলে গিয়েছে।

১৫) স্কুলের তরফে আবেদনপত্র পাঠানো হবে উচ্চ শিক্ষা দফতরকে। তখন ‘Dashboard’-এ দেখাবে ‘Application forwarded by to HOI to HED’।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*