রোজদিন ডেস্ক :- পাটুলি থানার কাছেই বিস্ফোরণ। বল ভেবে খেলতে গিয়ে বোমা ফেটে জখম কিশোর। বন্ধুদের সঙ্গে মাঠে ক্রিকেট খেলতে গিয়েছিল সে। গুরুতর জখম অবস্থায় ওই কিশোরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয়রা। সেখানে তার চিকিৎসা চলছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ বিস্ফোরণের তীব্র শব্দে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। মাঠ লাগোয়া আবাসনের বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। তাঁরা দেখেন, এক কিশোর জখম অবস্থায় মাঠে পড়ে রয়েছে। ধোঁয়ায় ঢেকেছে গোটা মাঠ। তড়িঘড়ি তাঁরা পুলিশে খবর দেন। জখম অবস্থায় তাঁরাই ওই কিশোরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, কয়েকজন কিশোর মাঠে ক্রিকেট খেলছিল। তাদের মধ্যে এক কিশোর বল খুঁজতে মাঠের এক কোণায় যায়। সেখানেই একটি বলের মতো কিছু দেখতে পায় সে। সেটি তুলে নিয়ে মাটিতে ফেলতেই বিস্ফোরণ ঘটে।
ক্লাস নাইনে পড়ে ওই কিশোর। তার বন্ধু জানিয়েছে, এদিন সকালে মাঠে ক্রিকেট খেলছিল তারা। তাদের বল হারিয়ে গিয়েছিল। দুজনের মিলে বল খুঁজতে থাকে। মাঠের এক জায়গায় একটি সাদা কাগজে মোড়ানো গোলাকৃতির কিছু খুঁজে পেয়েছিল তার বন্ধু। সেটি হাতে তুলে মাটিতে ফেলতেই বিস্ফোরণ ঘটে।
সে বলে, “বিস্ফোরণ ঘটতেই আমি ভয়ে পালিয়ে গেছিলাম। ওর প্যান্ট ফেটে গেছে। নাক থেকেও রক্ত বেরচ্ছিল। পরে সকলে ওকে হাসপাতালে নিয়ে যায়।”
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পাটুলি থানার পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে বোমার পোড়া অংশ উদ্ধার করা হয়। গোটা মাঠ পুলিশ ঘিরে ফেলেছে। মাঠের চারিদিকে বসতি থাকায় স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। তাঁরা ভেবেই পাচ্ছেন না, যে কীভাবে সুতোলি পাকানো ওই হাতবোমা মাঠে এল। এলাকার নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
ঘটনাস্থলে পৌঁছন, ডিসি এসএসডি বিদিশা কলিতা দাশগুপ্ত। তিনি ঘটনাস্থল খতিয়ে দেখেন। পরে এলাকায় যান ১১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর স্বরাজ মণ্ডল। স্বরাজবাবু জানিয়েছেন, হাসপাতালে গিয়ে তিনি কিশোরের সঙ্গে দেখা করেছেন। তাঁর সঙ্গে ওই কিশোরের কথাও হয়েছে। তাঁকে বাঘাযতীন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিশোরকে চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। সে এখন বাবা-মায়ের কাছেই আছে।
Be the first to comment