‘গো ব্যাক’ স্লোগান দেওয়া বিজেপি কর্মীকে লাথি সুভাষের!

Spread the love

পায়ের তলায় মাটি নেই। জনবিচ্ছিন্ন বিজেপির কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীদের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ তাঁদেরই দলের কর্মী-সমর্থকরা। আর সেই ক্ষোভ প্রকাশ করলে চড়াও হচ্ছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী! এমনকী, লাথি মারতেও পিছুপা হচ্ছে না! এমনই ভাইরাল ভিডিও ঘিরে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকারকে ‘গো ব্যাক’ বলা কর্মীকে শুধু লাঠি পেটা করাই নয়, রীতিমতো লাথি মারলেন তিনি! যা দেখে নিন্দার ঝড় উঠেছে।

গত বৃহস্পতিবার, মিঠুন চক্রবর্তীর সঙ্গে বাঁকুড়ার যান সুভাষ সরকার ও সুকান্ত মজুমদার। সেখানে গঙ্গাজলঘাটির দুর্লভপুর মোড়ের একটি বেসরকারি লজে বৈঠক করেন তাঁরা। বৈঠক শেষে বেলা ২টো নাগাদ বাইরে বেরোতেই সুভাষকে উদ্দেশ্য় করে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দিতে থাকেন বিজেপিরই কর্মী দীপক চক্রবর্তী। এরপরেই চূড়ান্ত অসহিষ্ণুতার পরিচয় দেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী-সহ বিজেপির অন্যান্য নেতা-কর্মীরা। দীপককে মাটিতে ফেলে প্রবল মারধর করা হয়। শুধু তাই নয়, দীপকের হাত থেকে পতাকা ছিনিয়ে সেই লাঠি দিয়ে তাঁকে মারা হয়। এরপর সুভাষ সরকারকে দেখা যায় দীপককে লাথি মারতে। আঙুল উঁচিয়ে দীপককে হুমকিও দেন তিনি। সেই নিন্দনীয় ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হয়। যদিও ভাইরাল ভিডিও-র সত্যতা যাচাই করেনি ‘এখন বিশ্ববাংলা সংবাদ’। দীপক হাতজোড় করে বারবার ক্ষমা চাইলেও থামনি মারধর।

এই ভিডিও ভাইরাল হতেই নিন্দার ঝড় ওঠে। দলে বিরুদ্ধ মত থাকতেই পারে। নেতৃত্বের বিরুদ্ধে কর্মী-সমর্থকদের ক্ষোভও তৈরি হতে পারে। গণতান্ত্রিক উপায়ে আলোচনা করে সেই সমস্যার সমাধান করাটাই দলীয় নেতৃত্বের কাজ। অথচ সেটা না করে দলীয় কর্মীকে রাস্তায় ফেলে মারছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী! এই থেকেই বঙ্গ বিজেপির বেহাল দশা প্রকাশ পায়। গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, দিল্লির নেতাদের উন্নাসিকতা, ঔদ্ধত্য এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে দলের পতাকা হাতে ধরে দাঁড়িয়ে থাকা কর্মীকে লাথি মারতেও দুবার ভাবছেন না নেতা!

তাদের কর্মী নন বলে বিজেপি হাতধুয়ে ফেলতে চাইলেও, গঙ্গাজলঘাটির নিধিরামপুরের বাসিন্দা দীপক নিজে জানিয়েছেন, এই সুভাষ সরকারকে লোকসভা নির্বাচনে জেতানোর জন্য অনেক পরিশ্রম করেছেন তিনি। কিন্তু ভোটের পর এলাকার কোনও উন্নয়ন করেননি বিজেপি সাংসদ। সেই কারণেই বিক্ষোভ দেখিয়েছেন তিনি। দীপকের কথায়, ‘‘আমি আগেও বিজেপি কর্মী ছিলাম। আজও আছি। সুভাষ সরকারকে জেতানোর জন্য অনেক খেটেছি। কিন্তু জেতার পর এলাকার জন্য কোনও কাজ করেননি সুভাষ। তিনি যাতে এলাকায় দ্বিতীয় বার না আসেন, তাই গো ব্যাক স্লোগান দিয়েছি।’’ আর তার বদলে তার কপালে জুটেছে বেদম মার। এই জনসংযোগ আর জনভিত্তি নিয়েই কী বঙ্গে ভোট জয়ের দিবাস্বপ্ন দেখছে বিজেপি!

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*