করোনা পরিস্থিতিতিতে জনমানসে ‘বিভ্রান্তি’ ছড়ানোর অভিযোগে বাঁকুড়ার বিজেপি সাংসদ ডাঃ সুভাষ সরকারের নামে অভিযোগ দায়ের করলো শাসক তৃণমূল। তৃণমূল নেতা জয়দীপ চট্টোপাধ্যায় বাঁকুড়া সদর থানায় এই বিজেপি সাংসদের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এবিষয়ে জানতে অভিযোগকারী তৃণমূল নেতা জয়দীপ চ্যাটার্জীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, বিজেপি সাংসদ ডাঃ সুভাষ সরকার নিজে এক জন চিকিৎসক হয়েও ‘বিশ্ব মহামারী’র সময়ে কোন রিপোর্ট না দেখে ‘বিভ্রান্তি’ ও ‘গুজব’ ছড়ানোর চেষ্টা করছেন। তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতেই এই আইনী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান। রিপোর্ট আসা পর্যন্ত অপেক্ষা না করে তার আগেই মৃতদেহ সৎকার কেন করা হচ্ছে?
এপ্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘প্রশাসন তার কাজ করছে’। এর পরেই ফের সাংসদ ডাঃ সুভাষ সরকারের দিকে অভিযোগের আঙ্গুল তুলে বলেন, উনি রিপোর্ট দেখার আগেই কেন সংবাদমাধ্যমের কাছে বিবৃতি দিলেন। ঘরের চার দেওয়ালে বন্দি থেকে বিবৃতি দেওয়াই ওনার কাজ বলেই জয়দীপ চ্যাটার্জী দাবী করেন। মেডিক্যাল রিপোর্ট আসার আগেই রাতের অন্ধকারে কেন মৃতদেহ সৎকার করা হচ্ছে? সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের কার্যত এড়িয়ে যান এই তৃণমূল নেতা। তিনি বলেন, কে কখন মারা যাবে সেটা বলা জটিল।
তারপরেই বলেন, ঐ রিপোর্ট গুলি তো ‘নেগেটিভ’ এসেছে। কিন্তু যদি ‘নেগেটিভ’ না এসে পজেটিভ হতো, তার দায় কে নিত? এই প্রশ্নের কোন জবাব মেলেনি এই তৃণমূল নেতার কাছ থেকে। এবিষয়ে অভিযুক্ত বিজেপি সাংসদ ডাঃ সুভাষ সরকারের বক্তব্য তাঁর বিরুদ্ধে ‘বিভ্রান্তি’ সৃষ্টির যে অভিযোগ ঐ তৃণমূল নেতা এনেছেন, সেই অভিযোগে খোদ রাজ্য সরকার নিজেই অভিযুক্ত। এই করোনা পরিস্থিতিতে রিপোর্ট আসার আগেই মৃতদেহ সৎকার করাটা ‘অপরাধমূলক’ কাজ দাবী করে তিনি প্রশ্ন তোলেন কেন মৃতের পরিবার ও বাঁকুড়া-পুরুলিয়ার মানুষকে ‘টেনশানে’ রাখা হলো?
এই অন্যায়ের কৈফিয়ত রাজ্য সরকারের দেওয়া উচিৎ বলেও তিনি বলেন, একই সঙ্গে বিজেপি সাংসদ ডাঃ সুভাষ সরকার বলেন, তিনি যে বক্তব্য রেখেন তা জেলাশাসককেও জানিয়ে এসেছেন, পাশাপাশি পাঁচ দফা করোনা মোকাবিলায় লিখিত প্রস্তাব জমা দিয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে মামলা
প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, মামলা উঠলে রাজ্য সরকার নিজেই অভিযুক্ত হয়ে যাবে। কোন অধিকারে ও কার অনুমতিতে রিপোর্ট আসার আগেই তড়িঘড়ি মৃতদেহ সৎকার হলো এপ্রশ্ন উঠবেই। তৃণমূল নেতাদের উপস্থিতিতে রাতের অন্ধকারে মৃতদেহ সৎকার করে রাজ্যসরকারই যেখানে অভিযুক্ত সেখানে তার বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ ‘মিথ্যা’ অভিযোগ আনা হয়েছে বলে তিনি দাবী করেন।
Be the first to comment