চন্দননগরের বিধায়ক গায়কদের থেকেও কাটমানি নেনঃ শুভেন্দু

Spread the love

বুধবার চন্দননগরে বিশাল মিছিলের পর জনসভা ছিল বিজেপি–র। আর সেখানে বক্তব্যের শুরুতেই চন্দননগরের তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেনকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর নাম না করে শুভেন্দু গুরুতর অভিযোগ এনে বলেন, ‘‌এখানকার বিধায়ক তো সঙ্গীতমেলায় গায়ক–গায়িকাদের কাছ থেকে কাটমানি নেন।’‌

ইন্দ্রনীল সেনকে ‘‌ছিন্নমূল বিধায়ক’‌ বলে কটাক্ষ করে শুভেন্দু বলেন, ‘‌যখন যে পার্টি আসে সেই পার্টিতে থাকেন এখানকার ছিন্নমূল বিধায়ক। তিনি নন্দীগ্রাম আন্দোলনের সময় বুদ্ধবাবুর পিছনে ঘুরতেন।’‌ শুভেন্দুর আরও কটাক্ষ, ‘চন্দননগরের বিধায়কের অবস্থা জলের মটো। বাটিতে বাটি। ঘটিতে ঘটি। তিনি দুর্ব্যবহারে ওস্তাদ।’‌‌

এর পরই একেবারে ব্যক্তিগত আক্রমণ করে বিজেপি নেতা বলেন, ‘‌অনেকরকম কাটমানি দেখেছি। লকডাউনে চাল চুরি দেখেছি। আমফানে ত্রিপল টুরি দেখেছি। ইনি গায়ক–গায়িকাদের কাছ থেকে কাটমানি নেন। সঙ্গীতমেলা থেকে। আমি জানি। আমাকে অনেক গায়ক–গায়িকা বলেছে, সরকার থেকে উঠেছে এত টাকা আর আমি পেয়েছি অন্য।’‌ দলের কর্মী–সমর্থকদের শুভেন্দুর বার্চা, ‘‌এদের তাড়াতাড়ি বিদায় দিতে হবে।’‌

এদিন চন্দননগরের তালডাংরা মোড় থেকে মানকুণ্ডু সার্কাস মাঠ পর্যন্ত মিছিল করেন শুভেন্দু অধিকারী। সঙ্গে ছিলেন সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়, অর্জুন সিং, স্বপন দাশগুপ্তরা। মিছিল শেষে ওই জনসভা থেকে শুভেন্দু আক্রমণ করেন চন্দননগর কমিশনারেটকেও। তাঁর দাবি, ‘‌পুরো চন্দননগর কমিশনারেট তো লাইন দিয়ে দিয়েছে সিবিআই অফিসে। কারও নাম এনামুলের খাতায়, কারও নাম লালার খাতায়। এই কমিশনারেটের আইপিএসদের লাইন পড়ে গিয়েছে নিজাম প্যালেসে, সিজিও কমপ্লেক্সে।’‌

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*