গতকাল করোনার জন্য ইমার্জেন্সি রিলিফ ফান্ড তথা জরুরি ত্রাণ তহবিলের কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চব্বিশঘণ্টার মধ্যে সেই তহবিলে এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বড় অঙ্কের টাকা দিলেন রাজ্যের পরিবহণ ও সেচমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী।
কন্টাই সমবায় ব্যাঙ্ক, বিদ্যাসাগর সেন্ট্রাল সমবায় ব্যাঙ্ক এবং কন্টাই কার্ড ব্যাঙ্ক থেকে ৫০ লক্ষ করে টাকা দিলেন শুভেন্দু। এছাড়াও নিজের বিধায়ক ও মন্ত্রী হিসেবে যে বেতন পান সেখান থেকেও ১০ লক্ষ টাকা দিলেন করোনা ইমার্জেন্সি রিলিফ ফান্ডে। মোট এককোটি ৬০ লক্ষ টাকা দিয়েছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। এই তিনটি ব্যাঙ্কেরই চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন শুভেন্দু।
গতকাল মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগের সুরে বলেছিলেন, কেন্দ্র একটা গ্লাভস কেনারও টাকা দিচ্ছে না। শুরুতে ২০০ কোটি টাকার তহবিলের কথা বললেও করোনা পরিস্থিতি যে জায়গায় পৌঁছেছে বা যাচ্ছে তাতে ২০০ কোটি টাকা কিছুই নয়। তাই গতকাল সাধারণ মানুষের উদ্দেশে রিলিফ ফান্ডে মুক্ত হস্তে দান করার আবেদন জানিয়েছিলেন। আর আজ সেই তহবিলে এককোটি ৬০ লক্ষ টাকা দিলেন তৃণমূলের এই তরুণ নেতা।
শুধু রিলিফ ফান্ডে টাকা দেওয়াই নয়। পরিবহণমন্ত্রীর কাঁধে এখন আরও বড় দায়িত্ব। লকডাউনের মধ্যেও যাতে জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত কর্মীরা কাজে যোগ দিতে পারেন তার জন্য বিশেষ বন্দোবস্ত করেছে তাঁর দফতর। আজই পরিবহণ ভবন জানিয়েছে, কলকাতার ছ’টি রুটে জরুরি পরিষেবার কর্মীদের সকাল আটটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত বাস চালানো হবে। সীমিত সংখ্যক ওলা-উবেরও রাস্তায় নামানোর উদ্যোগ নিয়েছে পরিবহণ দফতর।
Be the first to comment