আগের (বাম) সরকারের ২৩৫-এর দম্ভের কারণে পতন হয়েছিল। আবার যদি কেউ ক্ষমতার দম্ভ দেখায় তাহলে সাধারণ মানুষই ব্যবস্থা নেবে।’’ পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পটাশপুর- ২ ব্লকের আড়গোয়াল পঞ্চায়েতের নতুন ভবনের উদ্বোধন করতে এসে এমনই তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর।
বেশ কিছুদিন ধরেই শুভেন্দু অধিকারীকে দলের এবং সরকারি কোনও অনুষ্ঠানে দেখা যাচ্ছিল না। যা থেকে শুরু হয়ে যায় জোর জল্পনা। মাঝেমধ্যে বেশ কয়েকটি মঞ্চেও ইঙ্গিতপূর্ণ বক্তব্য রাখতে দেখা যায় শুভেন্দুকে। এরই মধ্যে চলতি সপ্তাহে জেলার বেশ কয়েকটি সরকারি অনুষ্ঠান মঞ্চে দেখা গিয়েছে রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রীকে।
মঙ্গলবার শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “মানুষকে নিয়ে কাজ করুন। দম্ভের লড়াইয়ে বামেরা শেষ হয়ে গিয়েছিল। মানুষের আবেগ এবং মন জিতলে টিকে থাকা যায়।” পাশাপাশি পঞ্চায়েত প্রতিনিধিদের প্রতি তাঁর বার্তা, “সকলকে নিয়ে উন্নয়ন হলে তবেই আদর্শ গ্রাম পঞ্চায়েত তৈরি হবে।’’
তিনি আরও বলেন, পঞ্চায়েতের উন্নয়নমূলক কাজ করতে হলে নিয়মিত গ্রাম সংসদের নিয়ে বসে সিদ্ধান্ত নিন। আমফান থেকে আবাস যোজনা প্রকল্পের সুযোগ কারা পাবেন সকলকে নিয়ে সংসদে বসে সিদ্ধান্ত নিন। দল দেখে কাজ করলে বেশি দিন থাকবেন না।
বাম জামানায় দলের নির্দেশে প্রশাসনিক কাজ পরিচালিত হত বলে অভিযোগ তুলে তিনি আরও বলেন, আগে যারা ক্ষমতায় ছিল তারা দল দেখে মানুষকে রেশনকার্ড, জবকার্ড দিত। ক্ষমতার দম্ভে ওদের সরকার বলতো, আমরা ২৩৫, শুধু ৩০ জনের কথা শুনবো না। কিন্তু নন্দীগ্রাম লড়াইয়ের মাত্র দেড় বছরের মধ্যেই ওদের ওত দম্ভ ভেঙেচুরে তছনছ হয়ে গিয়েছিল। মানুষই তছনছ করে দিয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, দলের নির্দেশে আমি চ্যালেঞ্জ নিয়ে লড়াই করেছি। আমাকে নেত্রী বললে আমি লড়াই করে দেব। সেটা আপনারা দেখেছেন। ২০০৯ সালে (লোকসভা নির্বাচনে তমলুক কেন্দ্রে) আমার ভোট জেতার মার্জিন ছিল ১ লক্ষ ৭২ হাজার। আর ২০১৪ সালে আমার মার্জিন বেড়ে হয়ে ছিল আড়াই লাখ। তাঁর আরও দাবি, “ভালো কাজ করলে এবং মানুষের সঙ্গে থাকলে সমর্থন বাড়বে। তা না হলে মানুষই শেষ কথা বলবেন। পরিণতি হবে বামফ্রন্টের মতো।
Be the first to comment