ভয় পাচ্ছেন বিরোধী দলনেতা! মুখ্যমন্ত্রীর মুখোমুখি হতেই চাইছেন না শুভেন্দু অধিকারী। সেই কারণেই তথ্য কমিশনার নিয়োগের বৈঠকে যোগ দেবেন না রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। বুধবার সকালে টুইট করে জানিয়েছেন তিনি। এবছর ১৫ জন তথ্য কমিশনার পদে আবেদন করেছেন। সেখান থেকেই চূড়ান্ত করতেই এই বৈঠক।
বিজেপির সবসময় অভিযোগ থাকে, তাদের না কি বিরোধীদল হিসেবে কোথাও ডাকা হয় না। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে ডাক পেয়েও তা এড়াচ্ছেন খোদ বিরোধী দলনেতা। রাজনৈতিক মহলের মতে, মমতার মুখোমুখি হতে ‘শঙ্কিত’ শুভেন্দু। বাজেট অধিবেশনের প্রথম দিন রাজ্যপালের ভাষণের সময় তাঁরই নেতৃত্ব চূড়ান্ত অভব্যতা করেন বিজেপি বিরোধীরা। রাজ্যপালের দিকে কাগজ ছুড়ে মারা হয়। এরপর অধিবেসন থেকে ওয়াকআউট করেন তাঁরা। পরে জবাবি ভাষণের দিনেও বলতে উঠে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে চরম অভব্য আচরণ করেন শুভেন্দু। তাঁকে সাসপেনশনের প্রস্তাব করেন বিধায়ক তাপস রায়। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং শুভেন্দুর হয়ে স্পিকারের কাছে ক্ষমা চেয়ে সেই সাসপেনশন আটকান। এই পরিস্থিতিতে আর মমতার মুখোমুখি হতে পারছেন না বিরোধী দলনেতা।
বুধবার দুপুর ১টায় বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে বৈঠক হয়। প্রোটোকল মেনে সেখানেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। বৈঠকের কিছুক্ষণ আগেই টুইটে শুভেন্দু জানান, তিনি বৈঠকে যোগ দেবেন না। এরপর বৈঠক শুরুর কিছুক্ষণ আগে তিনি চিঠি পাঠান। তাতে শুভেন্দুর অভিযোগ, আবেদনগুলি সংশ্লিষ্ট নির্দেশিকা লঙ্ঘন করেছে। ইতিমধ্যে পূর্বনির্ধারিত প্রার্থীকে অনুমোদন করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এই অভিযোগ তো শুভেন্দু বৈঠকে গিয়েও বলতে পারতেন! বৈঠকে এড়াতে হল কেন?
এর আগে একবার মুখ্যমন্ত্রী ঘরে গিয়ে তাঁর পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করেন শুভেন্দু। সেই নিয়ে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জর্জরিত বিজেপিতে কোণঠাসা হয়েছিলেন শুভেন্দু। রাজনৈতিক মহলের মতে, শাঁখের করাতের মতো অবস্থা শুভেন্দুর। সেই কারণেই মমতার সাক্ষাৎ এড়াচ্ছেন তিনি।
Be the first to comment