নবান্ন অভিযানের গোড়াতেই নানা জায়গায় পুলিশের বাধা পেল বিজেপি। হেস্টিংসের কাছে বাধা দেওয়া হল শুভেন্দু অধিকারীকে। তাঁর সঙ্গে পুলিশ আধিকারিকদের বেশ খানিকক্ষণ বচসা হয়। মহিলা পুলিশ অফিসারদের দেখেই তাঁর মন্তব্য, ‘ডোন্ট টাচ মাই বডি’। এরপর নিজেই কার্যত প্রিজন ভ্যানে উঠলেন বিরোধী দলনেতা। তাঁর সঙ্গে ছিলেন আরেক বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। তিনিও বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। তাঁকে পুলিশ আটক করে। এসব নিয়ে অত্যন্ত কড়া প্রতিক্রিয়া বিরোধী দলনেতার।
বিজেপির সূচি অনুযায়ী, এদিনের নবান্ন অভিযানে সাঁতরাগাছি থেকে মিছিলের নেতৃত্বে থাকার কথা ছিল শুভেন্দু অধিকারীর। মঙ্গলবার সকালে পিটিএস থেকে প্রচুর কর্মী, সমর্থক নিয়ে সাঁতরাগাছির দিকে যাচ্ছিলেন তিনি, সঙ্গে ছিলেন লকেট চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু এই চত্বরে পুলিশি ব্যারিকেড ছিল। তাই পুলিশ তাঁকে আটকায়। সেখানেই শুভেন্দু পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে বচসা শুরু হয় শুভেন্দুর। ‘আমাকে গ্রেপ্তার করুন’ বলে শুভেন্দু কার্যত পুলিশের দিতে তেড়ে যান। বলেন, ”যেতে দেবেন না কেন? না গেলে নদী পেরব কীভাবে? ওখানে আমাদের সমর্থকরা অপেক্ষা করছেন।” তিনি ব্যারিকেড ভাঙারও চেষ্টা করেন।
এরপর মহিলা পুলিশ তাঁকে আটকাতে গেলে হুঁশিয়ারির সুরে বলেন, ‘ডোন্ট টাচ মাই বডি।’ পরে পুলিশ অফিসাররা গিয়ে শুভেন্দুকে আটক করে প্রিজন ভ্যানে তোলেন। পরে বিরোধী দলনেতাকে ছাড়াই শুরু হয় মিছিল। নেতৃত্ব দেন সৌমিত্র খাঁ। তার আগে আটক করা হয় লকেটকেও। বিজেপির এই অভিযানে যেভাবে পুলিশি সক্রিয়তা দেখা গিয়েছে, তা নিয়ে দিলীপ ঘোষের প্রতিক্রিয়া, ”এভাবে গণতান্ত্রিক আন্দোলন আটকানো যায় না। তাহলে শাসকের গদি এমনিও থাকবে না।”
এদিকে, শুভেন্দু অধিকারীর এহেন আচরণ নিয়ে কটাক্ষ করেছেন কুণাল ঘোষ। তাঁর প্রতিক্রিয়া, ”বিরোধী দলনেতা আলুভাতে। নজিরবিহীন ঘটনা ঘটল। হাঁটতে হাঁটতে গিয়ে আত্মসমপর্ণ করল। পুলিশকে বাধা না দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে গিয়ে উঠে পড়ল প্রিজন ভ্যানে! সংবাদমাধ্যমের এতগুলো ক্যামেরার দেখে নাটক করছেন।”
Be the first to comment