মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুধবারই জানিয়েছেন, তিনি আগামিকাল রামপুরহাট যাচ্ছেন। আর এই নিয়েই মুখ্যমন্ত্রীকে এক হাত নিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর বক্তব্য, তথ্যপ্রমাণ লোপাট করতেই রামপুরহাট যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত সোমবার রাতে রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার এলাকা পরিদর্শন করতে বীরভূমে আসেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রামপুরহাট যাওয়ার পথে তিনি সিউড়িতে বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে কিছুক্ষণের জন্য দাঁড়ান তিনি। সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে আক্রমণের সুর চড়িয়ে বলেন, “উনি আগামিকাল আসছেন, যাতে এনআইএ, সিবিআই হলে, তথ্যপ্রমাণ লোপাট করে দিতে পারেন।”
সেই সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর আরও সংযোজন, “ওনাকে আমি অনুরোধ করব, মুখটা আগে ব্লিচিং ফিনাইল দিয়ে পরিষ্কার করুন। এক সপ্তাহে ২৬ জনকে খুন করার পরে, কদর্য ভাষায় বলছেন ল্যাংচাতে ল্যাংচাতে রামপুরহাট। উনি তো আসবেন হেলিকপ্টারে। একটা লোক যদি কলকাতা থেকে রামপুরহাট পৌঁছাতে চান, সকাল সাতটা সময় বেরিয়ে এখানে পৌঁছান তিনটের সময়। তিনি যদি রাস্তায় কোথাও দাঁড়িয়ে এক কাপ চা, জল খান, তাঁকে বলবে ল্যাংচা খেয়ে ল্যাংচাতে ল্যাংচাতে যাচ্ছে?” এর পাশাপাশি তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে পদত্যাগ করারও পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, “একজন মহিলার রাজত্বে ৮ জন মহিলাকে পুড়িয়ে মেরে দেওয়া হল। এখনই পদত্যাগ করা উচিত।”
উল্লেখ্য, বুধবার বিজেপি বিধায়কদের রামপুরহাট যাওয়ার পথে শক্তিগড়ে বাস থামানোর একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছিল। সেই নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কটাক্ষ করে বলেছিলেন, “আমি আজই যেতাম। কিন্তু কিছু দল ল্যাংচা খেতে খেতে ঢুকছেন ল্যাংচাতে ল্যাংচাতে। তাই রাত্রি হয়ে যাবে। ওরা থাকাকালীন আমি যাব না।” মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যের এবার পাল্টা দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। উল্লেখ্য, এই একই ইস্যুতে বুধবার টুইটও করেছিলেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। বিজেপি পিকনিক করতে যাচ্ছে বলে তির্যক মন্তব্য করেছিলেন তিনি।
Be the first to comment