এবার খেজুরিতে শুভেন্দু অধিকারীর মিছিলের পর আর তৃণমূলের উদ্যোগে কোনও সভা বা মিছিল হল না। মঙ্গলবার তৃণমূল কর্মসূচি বাতিল করেছে। যথারীতি মিছিল করেছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। তাঁর সঙ্গে হাজির ছিলেন তৃণমূলের দুই বিধায়ক।
প্রতিবছরই ২৪ নভেম্বর খেজুরি আসেন শুভেন্দু। মঙ্গলবার খেজুরির হার্মাদমুক্ত দিবসে বিশাল পদযাত্রা করলেন রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। এদিন বাঁশগোড়া থেকে কামারদা বাজার পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার পদযাত্রায় পা মেলান কয়েক হাজার মানুষ। তবে তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও ব্যানার এদিনও ছিল না।
শুভেন্দুবাবু বলেন, প্রতি বছর ২০১১ সাল থেকে এই দিনটি স্মরণ করতে এখানে আসি। শান্তি, গণতন্ত্র, বাকস্বাধীনতা চিরস্থায়ী হোক।
২০১০-এ হার্মাদদের খেজুরি দখল করার ঘটনা স্মরণ করেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, সে এক ভয়ঙ্কর দিন ছিল। ভোর ৩টে ২০ নাগাদ এখানে ৩০০ হার্মাদ বন্দুকবাজ হামলা চালায়। সাড়ে তিনটেয় খবর পেয়েও প্রতিরোধ করতে পারিনি। তখন খেজুরিতে গণতন্ত্র বলে কিছু ছিল না। সেই সময় হার্মাদদের সাহায্য করেছিল পুলিশ। মা-বাবা, ভগবানের আশীর্বাদ নিয়ে বেলা ১২টায় কামারদা পৌঁছাই। আমাকে দেখে হার্মাদবাহিনী হতচকিত হয়ে গিয়েছিল। মনের জোর সম্বল করে ওদের তাড়া করি। তা দেখে পিলপিল করে মানুষ আমার সঙ্গে এসে রুখে দাঁড়ান। তাড়া খেয়ে হার্মাদরা শুনিয়ার চরে গিয়ে আশ্রয় নেয়, বেলা আড়াইটে নাগাদ খেজুরি হার্মাদমুক্ত হয়েছিল।
এদিন তাঁর বক্তব্যে কোনও রাজনৈতিক দলের নাম উল্লেখ করেননি। ছিল না বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের কোনও বিষয়।
জানা গিয়েছে, শুভেন্দুবাবুর এই পদযাত্রা শুরুর আগে খেজুরিতে দলীয় কর্মসূচি বাতিল করেছে তৃণমূল। নন্দীগ্রাম দিবসে পাল্টা সভা করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। সেই সভায় রাজ্যের দুই মন্ত্রী ও এক সাংসদের বক্তব্য নিয়ে বিতর্ক দেখা দিয়েছিল। অস্বস্তিতে পড়েছিল দল। শুভেন্দু অধিকারী নতুন কোনও সিদ্ধান্ত নেবেন কীনা তা নিয়ে সেই সভায় সংশয় প্রকাশ করে তৃণমূল নেতৃত্ব।
যদিও পরবর্তীতে বর্ষীয়াণ তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় ও শুভেন্দু অধিকারীর মধ্যে ফোনে এবং মুখোমুখি বসে বৈঠক হয়েছে। সেই বৈঠক এখনও ফলপ্রসু হয়েছে বলে কেউ দাবি করেনি। ফের তাঁরা বৈঠকে বসবেন বলে জানা গিয়েছে।
রাজনৈতিক মহলের মতে, যদি পরের বৈঠকে কোনও সমাধান সূত্র বের হয় সেই কারণে তৃণমূল হার্মাদমুক্ত দিবসে খেজুরিতে মঙ্গলবার পৃথক কর্মসূচি নেয়নি।
Be the first to comment