রবিবার সাংবাদিক বৈঠক করছেন না শুভেন্দু অধিকারী। এমনই দাবি শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা কনিষ্ক পণ্ডার। তিনি এক বাংলা এক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, দল তাড়ায়নি, আমরাও যাইনি। পদের লোভে দলে নেই, তাড়িয়ে দিলে চলে যাব। শুভেন্দুর সাংবাদিক বৈঠক নিয়ে জল্পনা ছড়িয়েছে তৃণমূল।
এদিন শুভেন্দু অধিকারী সাংবাদিক বৈঠকে বসবেন বলে শোনা গিয়েছিল। সেখানেই নাকি তিনি তাঁর রাজনৈতিক অবস্থান স্পষ্ট করবেন, এমনটাও মনে করা হচ্ছিল। কিন্তু সেই জল্পনায় জল ঢাললেন তাঁর অনুগামীরা।
এর আগে কলকাতায় তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে শুভেন্দুর বৈঠক হওয়ার পর তাঁর করা একটি হোয়াটসঅ্যাপের কথা সামনে এসেছিল। সেখানে নাকি শুভেন্দু বলেছিলেন যে, ‘৬ তারিখের সাংবাদিক বৈঠকের আগেই আপনারা সব বলে দিলেন?’ জল্পনা ছড়ায় এই বক্তব্যকে ঘিরেই।
পাশাপাশি, সোমবার, ৭ ডিসেম্বরে মেদিনীপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা আছে। তাই তার আগেই শুভেন্দু তাঁর অবস্থান নিয়ে কথা বলবেন বলে আশা করেছিল অনেকেই।
তবে সম্প্রতি ব্রাত্য বসু বলেছেন, শুভেন্দু দলেই আছেন। গত শনিবার নন্দকুমারের দলিয় সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তৃণমূলের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, “শুক্রবার দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের পাঁচ হাজার দলীয় পদাধিকারিকদের নিয়ে ভারচুয়াল মিটিং করেন। সেই মিটিংয়ে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নেতা শিশির অধিকারীর সঙ্গে সুন্দর কথাবার্তা আমরা দেখেছি। অনেকেই শুভেন্দুকে নিয়ে দুশ্চিন্তা করছেন। কিন্তু আমি বলছি শুভেন্দু তৃণমূলে ছিলো, আছে আগামীতেও থাকবে।
যদিও তাঁর এই কথার কতটা সত্যতা রয়েছে তা সময় বলবে। কিন্তু শুভেন্দুর দলত্যাগ করার জল্পনার মাঝে ব্রাত্য বসুর মন্তব্যে দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে কিছু সময়ের জন্য স্বস্তির ছাপ দেখা গেলো।
নন্দকুমার ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের আয়োজনে শনিবার খঞ্চি হাই স্কুল মাঠে জনসভার আয়োজন করা হয়।সেই সভায় বক্তব্য রাখার সময় এমনই মন্তব্য করেন তৃণমূলের এই মন্ত্রী।
এদিনের সভায় ব্রাত্য বসুর পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু, নন্দকুমার বিধান সভার বিধায়ক সুকুমার দে, রামনগর বিধান সভার বিধায়ক অখিল গিরি, পূর্ব মেদিনীপুর জেলার যুব তৃণমূলের সভাপতি পার্থ মাইতি, নন্দকুমার পঞ্চায়েত সমিতি সভাপতি দীন নাথ দাস সহ অন্যান্যরা।
Be the first to comment