দু’দিন বাদেই নন্দীগ্রামে ভোট। তার আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে আবারও ঝাঁঝালো আক্রমণ শানালেন বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী। সোমবার নন্দীগ্রামে তৃণমূলনেত্রীকে নিশানা করে শুভেন্দু বলেন, ‘গত ১০ বছর বাংলাকে রসাতলে পাঠিয়েছেন। তোষণের রাজনীতি চালু করেছেন। বেকারত্ব তৈরি করেছেন। শিল্পের দরজা বন্ধ করেছেন। চায়ের দোকানে দেশি মদের পাউচ বিক্রি করা। তিনি হিন্দু সাজতে চাইছেন…।’
এরপরই মমতাকে বিঁধে শুভেন্দু বলেন, ‘সেজেগুজে বসে আছেন ব্যান্ডেজ বেঁধে। বেরোনোর সময় ব্যান্ডেজ লাগাতে হয়…।’ সেই সঙ্গে নন্দীগ্রামবাসীর উদ্দেশে বিজেপি নেতা বলেন, ‘সব বুথে কেন্দ্রীয় পুলিশ থাকবে। দাদার পুলিশ থাকবে। দিদির পুলিশ থাকবে না। উৎসবে ভোট করবেন।’
উল্লেখ্য, বিধানসভা নির্বাচনে এবার অন্যতম মূল লড়াই শুভেন্দু অধিকারী ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে। ভোটের মুখে মমতা বনাম শুভেন্দু বাগযুদ্ধে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। রবিবার সাগরের সভাতেও মমতাকে নিশানা করেছিলেন শিশির-পুত্র। শুভেন্দু বলেছিলেন, ‘বেগমকে হারাচ্ছি। যতই নাটকবাজি করুন না কেন। কোনও কাজে লাগবে না।’
তিনি এও বলেন, ‘তোষণবাজ তৃণমূল সরকারকে তাড়াতে হবে। আমিও তৃণমূল করতাম। ওখানে ল্যাম্পপোস্ট হয়ে থাকতে হবে। তোলাবাজ ভাইপোকে নেতা মানতে হবে। আমরা বললাম, ভাইপোকে নেতা মানতে পারব না। মোদীজি উন্নয়ন করেছেন। আর মাননীয়া কী করেছেন? ২ কোটি বেকার তৈরি করলেন, ৭ বছর SSC পরীক্ষা করাননি। চাকরিকে ভোকাট্টা করে দিয়েছেন।আমফানের চোরগুলোকে ভোট দেবেন না। চোরগুলোর কোমরে দড়ি পরাব। বেগমকে হারাবই। ওঁকে একটা ভোটও দেবেন না।’
অন্যদিকে, নন্দীগ্রামে শিশির ও শুভেন্দু অধিকারীকে আক্রমণ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘নন্দীগ্রামকাণ্ডের সময় বাপ-ব্যাটাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। এখন বিজেপিতে গিয়ে মিথ্যা কথা বলছেন।’ ভূমি আন্দোলন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সেদিন ওরা CPIM-কে ডেকে এনেছিল। CPIM-এর ক্যাডাররা পুলিশের ড্রেস পরে গুলি চালিয়েছিল। আজও তাই করছে। পুলিশের ড্রেস কিনে ক্যাডারদের সাজিয়ে গ্রামে গ্রামে ভয় দেখাচ্ছে, বলছে বিজেপি-কো ভোট দাও।’ ভয় দেখিয়ে তৃণমূলকে রোখা যাবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘নন্দীগ্রাম নিয়ে মামলা হয়েছিল। সেই মামলা এখন সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। কেবল অধিকারী পরিবারের বিরুদ্ধে কোনও মামলা হয়নি।’
Be the first to comment