উপনির্বাচন শুরু হওয়ার আগেই বিপাকে পড়ে গেলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কারণ বিধানসভার প্রিভিলেজ কমিটির বৈঠকে শুভেন্দু অধিকারীর আর্জি খারিজ হয়ে গেল। বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ‘অসাংবিধানিক’ মন্তব্য করেছিলেন তিনি। তাই শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের অভিযোগ এনেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। বৃহস্পতিবার বিষয়টি নিয়ে বৈঠক হয়। আর সেখানেই শুভেন্দুর আর্জি খারিজ হয়ে যায়।
এদিন প্রিভেলেজ কমিটির চেয়ারম্যান আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে হওয়া বৈঠকে অভিযোগকারী এবং অভিযুক্ত—দুই পক্ষকেই তাঁদের তথ্যপ্রমাণ দিতে বলা হয়। শুভেন্দুও তথ্যপ্রমাণ জমা দেন। কিন্তু গত ৬ তারিখ চিঠি দিয়ে প্রিভেলেজ কমিটির কাছে চার সপ্তাহ সময় চেয়েছিলেন। কিন্তু আজকের প্রিভেলেজ কমিটির বৈঠকে খারিজ হল শুভেন্দু অধিকারীর আর্জি। তাঁকে দুই সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়। চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যকেও আরও কিছু তথ্য দেওয়ার জন্য সময় দেওয়া হয়েছে ১৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
উল্লেখ্য, বিধানসভার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্যের অভিযোগ ওঠে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে। অধিবেশন শুরুর পরপরই শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিশ আনে তৃণমূল কংগ্রেস। তিনি অধিবেশন চলাকালীন আপত্তিকর মন্তব্য করেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বলে অভিযোগ। সেই অধিবেশন বয়কট করে ওয়াকআউট করেন বিজেপি বিধায়করা।
তখন শুভেন্দু বলেছিলেন, ‘কোম্পানির কর্মচারীদের সামনে ওদের নেত্রী হেরেছেন সেকথা বলা যাবে না। তাহলে রে রে করে উঠবেন। আমি তার পরেও বলেছি। বলেছি, ১৯৯৬ সালে করেলে অচ্যূতানন্দনজি হারেন কিন্তু এলডিএফ জেতে। এলডিএফ নতুন মুখ্যমন্ত্রী বেছে নিয়েছিল। হিমাচল প্রদেশে বিজেপি জেতেন কিন্তু প্রেমকুমার ধুমলজি দুটি আসন থেকে হারেন। তার পরও পার্টি তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী করতে চাইলে তিনি অস্বীকার করেন।’
Be the first to comment