ভবানীপুর থেকে পালাতেই নন্দীগ্রামে দাঁড়িয়েছিলেন মমতাঃ শুভেন্দু অধিকারী

Spread the love

ভবানীপুর উপনির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা ট্রিব্রেওয়ালের প্রচারে এসে তৃণমূল সু্প্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র আক্রমণ শুভেন্দু অধিকারীর। ‘হেরো মুখ্যমন্ত্রী’ বলে সন্বোধন করে বিজেপি নেতা শুভেন্দু বলেন, ‘ভবানীপুর থেকে পালাতে নন্দীগ্রামে লড়েন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘

এখানেই শেষ নয় শুভেন্দু আরও বলেন, ‘আসলে এক ঢিলে দুই পাখি মারতে নন্দীগ্রামে গিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। আমি দল ছাড়ার পর ১৮ জানুয়ারি ২০২১ সালে নন্দীগ্রামে সভা করতে গিয়ে জেদের বশে আমাকে জবাব দিতে জিজ্ঞেস করেন এখান থেকে ভোটে দাঁড়ালে কেমন হয়। তা দুধেল গাইরা হ্যাঁ বলতেই তিনি ভাবেন শুভেন্দু অধিকারীকে জবাব দেওয়াও হয়ে যাবে আর ভবানীপুর থেকে পালানোও হয়ে যাবে। কারণ- ২০১১ সালে জেতার পর তিনি এখানে কোনও উন্নয়নের কাজ করেননি। এখানকার মানুষের খোঁজ তিনি রাখেন না। নন্দীগ্রাম ১৯৫৬ ভোটে তাঁকে হারিয়ে জবাব দেওয়ায় এখন ভবানীপুরে আশ্রয় খুঁজছেন।’

বিরোধী নেতা শুভেন্দুর দাবি, ‘ভবানীপুরে লোকসভা নির্বাচনে খোদ মমতা ও তাঁর পরিবার ভোট দেন যে এলাকায় সেই মিত্র ইনস্টিটিউশন কেন্দ্রেই লিডে অর্থাৎ এগিয়ে ছিল বিজেপি। ঘরের পাশে ভোট না পাওয়ার আশঙ্কাতেই নন্দীগ্রাম কেন্দ্র নির্বাচন।’ একইসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পেট্রল-ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে কেন্দ্রকে যে আক্রমণ করেছেন তার জবাবে শুভেন্দু অধিকারীর পালটা চ্যালেঞ্জ, ‘পেট্রল ডিজেলের দাম নিয়ে এত কথা বলছেন, আমি চ্যালেঞ্জ করছি, হিম্মত থাকলে ভবানীপুর থেকে ঘোষণা করে দেখান পশ্চিমবঙ্গ পেট্রল-ডিজেলকে জিএসটি-র আওতায় আনতে চায়। কর হিসেবে প্রতি ১০০ টাকায় তো ৪৫ টাকা জমা পড়ে আপনার রাজ্যের কোষাগারে।’

একইসঙ্গে ভ্যাকসিনের সার্টিফিকেটের সঙ্গে কোভিড মৃত্যুর সার্টিফিকেটে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ছবি রাখার দাবিরও প্রতিবাদ জানান শুভেন্দু। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ‘শুনেছিলাম আপনি ভ্যাকসিন কিনে রাজ্যের লোককে দিতে চেয়েছিলেন। তারপর বললেন ভ্যাকসিন কেনা আমার কাজ নয়। যেটুকু কিনেছিলেন তাতে তো পারলে ভায়ালের গায়ে নিজের ছবি ছাপিয়ে দিতেন।’

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*