ফের তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। এবার উঠে এল সিবিআই প্রসঙ্গও। সোমবার হুগলির সভা থেকে তিনি বলেন, ‘ভাইপোকে শ্রীঘরে যেতেই হবে। বলেছিল, কাঁচকলা করবে সিবিআই-ইডি। তবে কাল কী হল! এখন তো আর দুয়ারে সরকার বলছে না। এখন বলছে, দুয়ারে সিবিআই। শুধু তো রসিদটা দেখিয়েছিলাম। এবার লালার ডায়েরিটা নিয়ে মাঠে নামব। তৃণমূল সাবধান।’ পাশাপাশি শুভেন্দুর নিশানায় ছিলেন ফিরহাদ হাকিমের কন্যা প্রিয়দর্শিনীও।
কটাক্ষের সুরে শুভেন্দু বলেছেন, ‘জয় শ্রীরাম বললেই দিদি রেগে যাচ্ছেন। তাই বেশি করে আরও জয় শ্রীরাম বলুন।’ তৃণমূলের নতুন স্লোগানকে টেনে তিনি বলেন, ‘আপনাকে কেউ আর বাংলার মেয়ে মনে করে না।’ তাঁর অভিযোগ, ‘আরামবাগে-ধনেখালিতে আলু চাষিদের শেষ করা হয়েছে। ধান চাষিদেরও শেষ করে দিয়েছে। তৃণমূলের কাটমানি খাওয়া লোকেরা কেন্দ্রের প্রকল্পকে নিজেদের করে চালাচ্ছে। শুধু মিথ্যা প্রচার করে যাচ্ছে।’
নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হতে পারে যে কোনও দিন। এর মধ্যে রবিবার সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কালীঘাটের বাড়িতে সিবিআই আধিকারিকদের যাওয়া নিয়ে রাজনৈতিক উত্তাপ ছড়িয়েছে। শাসক শিবিরের স্পষ্ট বক্তব্য, বিজেপির হয়ে প্রতিহিংসামূলক আচরণ করছে সিবিআই। যদিও অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে বিজেপি। পাশাপাশি সিবিআই নোটিশের জবাব দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরা। সোমবার সিবিআইকে একটি চিঠি দিয়েছেন তিনি। জানিয়েছেন, মঙ্গলবার সকাল ১১টা থেকে বেলা ৩টের মধ্যে সিবিআই-এর মুখোমুখি হতে প্রস্তুত তিনি।
বেআইনি কয়লা পাচার মামলার তদন্তে গত কয়েক মাস ধরেই তৎপর সিবিআই। মামলায় মূল অভিযুক্ত অনুপ মাঝি ওরফে লালার এখনও কোনও হদিশ নেই। তাঁর বিরুদ্ধে জারি হয়েছে লুক আউট নোটিশ। অন্যদিকে, এই মামলায় যুব তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক বিনয় মিশ্রেরও হদিশ মেলেনি। এই ঘটনায় রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে গেলেও, একাংশের মতে, কয়লাকাণ্ডের জাল দ্রুত গোটাতেই তৎপর কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।
Be the first to comment