ক্যান্সারের ওষুধ বেরিয়েছে, হিংসার ওষুধ বেরোয়নি! প্রজাতন্ত্র দিবসে আমন্ত্রণ না পেয়ে ক্ষোভ উগরে দিলেন শুভেন্দু

Spread the love

প্রজাতন্ত্র দিবসেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কলকাতার রেড রোডে রাজ্যের প্রজাতন্ত্র দিবসে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি তাঁকে। সেই কারণে রীতিমত কড়া ভাষায় নিন্দা জানিয়েছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, “ক্যান্সারের ওষুধ বেরিয়েছে। কিন্তু হিংসার ওষুধ এখনও বেরোয়নি। যেহেতু আমার কাছে তিনি নন্দীগ্রামে হেরে বাড়ি গিয়েছেন এটা চিরদিন লেখা থাকবে। হেরেছি হেরেছি হেরেছি…”

বুধবার প্রথম থেকেই ফর্মে ছিলেন শুভেন্দু। সভামঞ্চে উঠেই তিনি একের পর এক আক্রমণ করতে শুরু করেন মুখ্যমন্ত্রীকে। বলেন, “স্বাধীনতার পরে এই প্রথম হয়েছে  রাজ্যে প্রজাতন্ত্র দিবস পালন হচ্ছে। অথচ সেই অনুষ্ঠানেই আমন্ত্রণ পেলেন না খোদ বিরোধী দলনেতা। গত বছরও আব্দুল মান্নানকে এই কোভিডের মধ্যেও কার্ড দেওয়া হয়েছিল। সঙ্গে ফোন করা হয়েছিল আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। কিন্তু এই বছর তা হল না। আমার মনে হয় নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমার কাছে হেরেছেন, সেই যন্ত্রণা থেকে তিনি আমাকে ডাকতে দেননি। তাঁর নির্দেশেই হয়েছে এটা।”

এরপর শুভেন্দু জানান, ” আপনারা জানেন ক্যান্সারেরও কেমো বেরিয়েছে। কিন্তু হিংসার কোনও ওষুধ বের হয়নি। এটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হিংসা। যেহেতু আমার কাছে তিনি নন্দীগ্রামে হেরে বাড়ি গিয়েছেন এটা চিরদিন লেখা থাকবে, হেরেছি হেরেছি হেরেছি।”

এদিন প্রজাতন্ত্র দিবসে নন্দীগ্রামে টাউন ক্লাবের পতাকা উত্তোলনের পাশাপাশি কীর্তনীয়াদের কুড়িটি মৃদঙ্গ বিতরণ, কয়েকটি মন্দিরের সিসিটিভির উদ্বোধন তার পাশাপাশি মন্দিরের মাইক সেট বিতরণ অনুষ্ঠানে শামিল হন শুভেন্দু। প্রত্যেককে প্রজাতন্ত্র দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে শুভেন্দু বলতে শুরু করেন, ” বহু জায়গায় শিলান্যাস হয় এবং তাতে শেওলা পড়ে। আমি অন্তত যেটা বলি করার চেষ্টা করি।”

প্রসঙ্গত, দিল্লির পাশাপাশি কলকাতার রাজপথেও প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপন। অনুষ্ঠানে কোভিড বিধি নিয়ে কড়াকড়ি। নিউ মার্কেট, পার্কস্ট্রিট থেকে বড়বাজার – প্রজাতন্ত্র দিবসের আগে থেকেই শহর জুড়ে চলেছে পুলিশের তল্লাশি। হোটেল, গেস্ট হাউজগুলিতেও কড়া নজরদারি পুলিশের। বিভিন্ন রাস্তায় চলছে নাকা চেকিং। মঙ্গলবার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখেছেন পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। শহরের আনাচে-কানাচে চলছে নজরদারি। মূল অনুষ্ঠানের জায়গাতেও কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*