গত কয়েকমাস ধরেই দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকর করার দাবিতে সরব হয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। এই নিয়ে আদালতে যাবেন বলে হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা। এই ইস্যুতেই সোমবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন শুভেন্দু অধিকারী। এদিন তিনি বলেন, ‘আইন আইনের পথে চলবে। এদের কারোরই আর বিধায়ক পদ থাকবে না।’ নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পর থেকেই যে বিধায়করা দলত্যাগ করেছিলেন, তাঁদের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন শুভেন্দু।
প্রসঙ্গত, বিজেপি ত্যাগ করে মুকুল রায় তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলে তাঁর বিরুদ্ধেও দলত্যাগ বিরোধী আইনে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আবেদন জানিয়ে অধ্যক্ষকে চিঠি দিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা। তখনই তিনি হাইকোর্টে যাওয়ারও হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। গত মাসে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানিয়েছিলেন, ‘আগামি সপ্তাহে হাইকোর্টে যাব। দ্রুত দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকর করতে হবে।’
সে প্রসঙ্গে অবশ্য, বিধানসভার অধ্য়ক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্য়ায় বলেছিলেন, ‘আদালতের দরজা সবার জন্য খোলা আছে। যে কেউ আদালতে যেতে পারেন। আমি নিয়ম মেনে এগোচ্ছি।’
এছাড়া, বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস ও বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তন্ময় ঘোষ গত মাসেই তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন। তাঁদের অবস্থান স্পষ্ট করবার জন্য বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী তাঁদের দু’জনকেই চিঠি দিয়ে জানতে চেয়েছিলেন। কিন্তু, সেই চিঠির তাঁরা কোনও জবাব দেননি বলে দাবি। দলত্যাগ বিরোধী আইনে এই দুই বিধায়কের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য আর্জি জানিয়ে অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠিও দিয়েছিলেন শুভেন্দু।
দলত্যাগী এই দুই বিধায়কের বিরুদ্ধেও সরব হয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। মুকুল রায় তৃণমূলে ফেরার পর থেকেই বারবার দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকর করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিয়ে শুভেন্দু বলেছিলেন, ‘দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকর হয়নি বাংলা। পদ্ধতি জানি, আমি বিরোধী দলনেতা হিসেবে বলছি, দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকর করে দেখাব’।
Be the first to comment