একুশের নির্বাচনক ঐতিহাসিক বলে ব্যাখ্যা দেওয়ার অন্যতম কারণ হল, নন্দীগ্রামের লড়াই। ভোটের আগে সুর বদল থেকে শুরু করে ফলাফলের দিন বিকেল পর্যন্ত শিরোনামে থেকেছে নন্দীগ্রাম। কারণ এই কেন্দ্রে লড়াই ছিল একসময়ের দুই সহযোদ্ধার। হাড্ডাহাড্ডাই লড়াই হলেও শেষবেলায় মমতাকে হারিয়ে জয়ী হয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। গেরুয়া শিবিরের হিসেব উল্টে মাত্র ৭৭টি আসন মিললেও শুভেন্দুর জয় কিছুটা অক্সিজেন এনেছে। তাই শুভেন্দুকেই মমতার বিরোধী হিসেবে জায়গা দিতে পারে বিজেপি। তাঁর নামই বিরোধী দলনেতা হিসেবে ঘোষণা করা হবে বলে সূত্রের খবর।
বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, মন্ত্রী হওয়ার অভিজ্ঞতা থাকায় মুকুল রায় ও শুভেন্দু অধিকারীকেই বিরোধী দলনেতা পদে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। শুভেন্দুর নামও এই পদের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর। আজ, বুধবার সন্ধেয় সেই নাম ঘোষণা হতে পারে।
একসময় মমতার পাশে থেকেই লড়াই করেছিলেন এই শুভেন্দু অধিকারী। নন্দীগ্রামের আন্দোলনের অন্যতম হোতা ছিলেন তিনি। তারপর জল গড়িয়েছে অনেক, একুশের নির্বাচনের আগে সুর বদলায় শুভেন্দুর। অধিকারী গড়ে শুরু হয় পালাবদল। আর মমতার তৃণমূল নাড়ি নক্ষত্র চেনা সেই নেতাকেই নন্দীগ্রামে মমতার প্রতিপক্ষ হিসেবে ময়দানে নামায় বিজেপি। লড়াই কঠিন হলেও নন্দীগ্রামের পুরনো জমি থেকে গেল শুভেন্দুর হাতেই। আর এবার বিধানসভায় মমতার বিরোধিতায় প্রধান মুখ হিসেবে উঠে আসছে শুভেন্দু অধিকারীর নাম।
বুধবারই মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর অন্য দিকে, এদিনই মমতাকে কটাক্ষ করে শুভেন্দু বলেন, ভোটে হেরে মুখ্যমন্ত্রী হলেন। এর আগে রাজ্যে এমনটা হয়নি।’ তিনি আরও বলেন, ‘২১৩ জন বিধায়কের মধ্যে কাউকে খুঁজে পাওয়া গেল না মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে। এই জন্য তো বলেছিলাম লিমিটেড কোম্পানি।’ পাশাপাশি রাজ্যে সন্ত্রাসের পরিস্থিতি নিয়েও সরব হয়েছেন তিনি।
Be the first to comment