বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে বাধা পুলিশের। কনভয় আটকাল পুলিশ। বৃহস্পতিবার বিকেলে বিকাশ ভবন যাওয়ার পথে আটকানো হয় শুভেন্দুর কনভয়। বাধা দেওয়ার পরই পুলিশের সঙ্গে বচসা শুরু হয়ে যায় তাঁর। গাড়ি থেকে নেমে রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তিনি। তাঁর সঙ্গে ছিলেন আসানসোলের বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল। স্কুল খোলার দাবি নিয়েই এ দিন তাঁরা বিকাশ ভবনে যাচ্ছিলেন বলে জানা গিয়েছে।
শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন, এ দিন শিক্ষা সচিবের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছিলেন তিনি। যাওয়ার পথেই বাধার মুখে পড়তে হয় তাঁকে। তিনি আরও জানান, আগে থেকে সময় চেয়েই যাচ্ছিলেন বিকাশ ভবনে। বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘আমাদের বিকাশ ভবনে যাওয়ার অধিকারটুকু নেই। আমরা কোনও মিটিং, মিছিল, আন্দোলন করতে আসিনি। শিক্ষা সচিব সময় না দিলে ফিরে যেতাম।’ শুভেন্দু জানান, শিক্ষা সচিবের দফতরে একাধিকবার ফোন করা হয়েছিল। তিনি বিকেল ৫ টার পর সময় দিতে পারবেন জেনেই এসেছিলেন বলে উল্লেখ করেন শুভেন্দু।
তবে এ ভাবে তাঁকে থামানো যাবে না, আবারও আসবেন বলে জানিয়েছেন শুভেন্দু। তিনি জানান, প্রবেশ করতে না দিলে বাংলার পড়ুযা ও অভিভাবকদের বার্তা দিয়ে তিনি চলে যাবেন। আগামিকাল অর্থাৎ শুক্রবার আবারও আসবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। স্কুল খোলার দাবিতে সরব হন বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পালও। তিনি বলেন, ‘দুয়ারে মদ পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে, আর স্কুল খোলা হচ্ছে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের কেন আটকানো হচ্ছে, আমরা তো ক্রিমিনাল নই।’
এ দিন ১২ জন বিধায়ককে সঙ্গে নিয়ে বিক্ষোভ দেখান শুভেন্দু। বৃহস্পতিবার দুপুরে সল্টলেকে শুভেন্দু অধিকারীর বাড়িতে ছিল বিজেপি নেতাদের একটি বৈঠক। সেই বৈঠক শেষেই বিকাশ ভবনের দিকে যাচ্ছিলেন তিনি। পুলিশ তাঁদের বলে, ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে, তাই যাওয়া যাবে না। এই বলে বাধা দেওয়া হয় বিধায়কদের। পরে শুভেন্দু রাস্তা থেকে উঠে গেলেও তিনি জানিয়েছেন যে তিনি আবারও আসবেন।
বৃহস্পতিবারই কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে স্কুল খোলার দাবিতে বিক্ষোভ দেখায় এসএফআই। আধ ঘণ্টার ব্যবধানে একই দাবিতে একই জায়গায় পথে নামে এবিভিপিও। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনেও বৃহস্পতিবার একই দাবিতে বিক্ষোভ দেখান এসএফআই-এর কর্মীরা। কয়েকদিন আগে এসএফআই-এর কর্মসূচি নিয়েও সল্টলেকে ধুন্ধুমার বেঁধেছিল।
উল্লেখ্য, গত বছর পাঁশকুড়ায় আচমকা বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর কনভয়ে হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে শাসক দলের বিরুদ্ধে। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগও উঠেছিল। ঘটনায় আহত হন অন্তত ১০ জন বিজেপি কর্মী। কনভয়ে লক্ষ্য করে ‘গো ব্যাক’ ‘গদ্দার’ স্লোগান দেওয়া হয়।
Be the first to comment