প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়ালের সমর্থনে প্রচারে এসে ভবানীপুর থেকে বড় ঘোষণা করলেন শুভেন্দু অধিকারী। সোমবার ভবানীপুরের যদুবাবুর বাজারের সভা থেকে শুভেন্দু বলেন, ‘কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে বলব, প্রিয়াঙ্কা জিতলে আমার চেয়ার ওকে দেওয়া হোক।’ তাঁর এই মন্তব্যের পরই হইচই পড়ে যায় বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে।
এদিন শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যে ফের উঠে আসে নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পরাজিত করার ঘটনা। তিনি বলেন, ‘নন্দীগ্রামে ছক্কা মেরেছি। ভবানীপুরের মানুষকে অনুরোধ, আপনারা ভবানীপুরকেও নন্দীগ্রাম করুন।’ ভবানীপুর উপ নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পরাস্ত করার ডাক দিয়ে এদিন শুভেন্দুর বক্তব্য, ‘মানুষের টাকা নষ্ট করে এখানে ভোট হচ্ছে। এই কেন্দ্রের বিধায়ক শোভনদেব তো দলবদল করেননি। তাও তাঁকে ইস্তফা দেওয়ানো হয়েছে জোর করে। বিধায়ক হিসেবে মানুষ তাঁকে মেনে নেয়নি। তা সত্ত্বেও মুখ্যমন্ত্রী থাকার জন্য জোর করে এই ভোট।’ তিনি আরও বলেন, ‘শুভেন্দু অধিকারীকে হারাতে নন্দীগ্রামে গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু নিজেই হেরে চলে এসেছেন। এমন বাউন্ডারি মেরেছি এখানে চলে এসেছেন।’
প্রসঙ্গত, ভবানীপুরে দিলীপ ঘোষের প্রচার ঘিরে ধুন্ধুমার কাণ্ড বাধে প্রচারের শেষ দিন অর্থাৎ সোমবার। অভিযোগ, দক্ষিণ কলকাতায় প্রচারে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতিকে নিগ্রহ করা হয়। ঘটনায় বিজেপি সমর্থক ভাব নারায়ণ সিংয়ের নেতার মাথা ফেটে যায় বলে খবর। হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে তাঁকে।
ক্ষুব্ধ দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘তালিবানি শাসন চলছে এখানে। এমন নির্বাচন দেখিনি।’ মেজাজ হারান তিনি। এদিন সকালেই দিলীপ ঘোষ চাঞ্চল্যকর অভিযোগ এনেছিলেন পুলিশের বিরুদ্ধে। তিনি বলেন, ‘জেলায় জেলায় আমাদের পার্টির লোকেদের ডেকে পাঠানো হচ্ছে পুলিশ স্টেশনে। ভয় দেখানো হচ্ছে। তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য জোর করা হচ্ছে। এমনকী, বাড়ি বাড়িও পুলিশ পাঠিয়ে ভয় দেখানো হচ্ছে।’ দিলীপ ঘোষকে ধাক্কাধাক্কি দেওয়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে এদিন পালটা মন্তব্য করেছেন ফিরহাদ হাকিম। মন্ত্রী বলেন, ‘দিলীপ দা ভালো লোক। কিন্তু, দলের নেতৃত্ব তাঁকে সরিয়ে দিল।’
Be the first to comment