প্রশাসনিক সভায় পূর্ব মেদিনীপুরের এসপিকে ধমক দেওয়া নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একহাত নিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মুখ্যমন্ত্রী ওই পুলিশ সুপারের কাছে জানতে চেয়েছিলেন, রাজ্যপাল তাঁকে ফোন করেন কি না।
এই বিষয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতার প্রতিক্রিয়া, “মুখ্যমন্ত্রী নন্দীগ্রামের হার এখনও পর্যন্ত হজম করতে পারেননি। একজন মুখ্যমন্ত্রী একজন আইপিএসকে প্রকাশ্যে বলছেন, রাজ্যপাল ফোন করেন কি না। আমি জ্ঞানত জানি মহামান্য রাজ্যপাল এই ধরনের কাজ করেন না। তিনি জানান, রাজ্যপাল সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে যে কোনও জনপ্রতিনিধি, আধিকারিক, মন্ত্রীকে ফোন করতেই পারেন। যে কোনও বিষয়ে জানতে হলে রাজ্যপালের অফিস থেকে ফোন যেতেই পারে তাঁদের কাছে ।
ভরা জনসভায় মুখ্যমন্ত্রীর এই প্রশ্নে তাঁর ভয় সামনে এসেছে। এই দাবি করে বিজেপি নেতা বলেন, “জনসমক্ষে তিনি যেভাবে প্রশ্ন করেছেন, তাতে মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী যে ভয়, আতঙ্কের মধ্যে আছেন তা প্রমাণ হয়েছে। নন্দীগ্রামের বিধায়কের মতে একজন এসপিকে এভাবে দাঁড় করিয়ে জিজ্ঞেস করে কোনও লাভ নেই। গোটা পশ্চিমবঙ্গে আইন-শৃঙ্খলার অবস্থাটা যে জায়গায় গিয়েছে, তার জন্য দায়ী পুলিশমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তিনি আরও বলেন, মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন তোমরা রাজ্যের অধীনে কাজ কর। রাজ্যে আইএএস, আইপিএস, আইএফএসরা কাজ করেন। কিন্তু তাঁরা ডেপুটেশনে কাজ করেন। এঁরা সেন্ট্রাল ক্যাডার। বিজেপি নেতা মনে করিয়ে দেন, ভারত সরকার উদ্যোগ নিয়েছে যে, রাজ্য সরকারের কোনও এনওসি লাগবে না। আইএএস, আইপিএসদের প্রয়োজনমতো কেন্দ্রীয় সরকার বিভিন্ন জায়গায় পোস্টিং দিতে পারবে। এই আতঙ্কে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একসপ্তাহে দু‘টো চিঠি লিখেছেন বলে জানান বিরোধী দলনেতা। তাঁর দাবি, মুখ্যমন্ত্রীর এই চিঠি কার্যকর হবে না। মার্চের শেষেই কেন্দ্র সরকার সেন্ট্রাল ক্যাডার রুল অনুযায়ী আইএএস, আইপিএস, আইএফএসদের ট্রানস্ফার পোস্টিং নিয়ে নেবে। তিনি বলেন, ওনারা রাজ্যের অধীনে কাজ করেন না । মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যের মধ্যে পুলিশ দফতরের দৈন্যতা প্রকাশ পেয়েছে।
Be the first to comment