ভোট মেটার পরও নন্দীগ্রাম ঘিরে রাজনৈতিক তরজা থামছে না। শনিবার উত্তরবঙ্গের মাটিতে পা রেখে ফের নন্দীগ্রাম নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিঁধলেন শুভেন্দু অধিকারী। আবারও আত্মবিশ্বাসের সুরে বিজেপি প্রার্থী বললেন, ‘১ এপ্রিল বেগম হেরে গিয়েছেন। নন্দীগ্রামে পদ্ম ফুটিয়ে এখানে এসেছি।’ দিনহাটা ও সিতাই কেন্দ্রের দুই বিজেপি প্রার্থীর হয়ে সভা করেন শুভেন্দু।
শনিবার শুভেন্দু অধিকারী আরও বলেন, ‘আমি মাটির গন্ধ বুঝি। আমি দায়িত্ব নিয়ে বলছি ষাটের মধ্যে অন্তত পঞ্চান্নের বেশি আসনে বিজেপি জিতে গেছে। যে পরিবর্তন আপনারা ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে শুরু করেছেন সেই বৃত্ত সম্পূর্ণ হতে চলেছে আগামী দিনে।’
এরপরই তৃণমূলকে একহাত নিয়ে শুভেন্দু বলেন, ‘১০ বছর ধরে তৃণমূল কংগ্রেসের সরকার চলছে৷ আমি কিছু বছর মন্ত্রী ছিলাম। তবে দল ও সরকার প্রাইভেট লিমিটেড পার্টিতে পরিণত হয়েছে। পার্টিতে একজন সব। বাকি সবাই ল্যাম্পপোস্ট৷ দিদি ও তাঁর ভাইপো বাংলায় কাটমানি সিন্ডিকেট রাজে ভরিয়ে দিয়েছেন।’
এদিকে, নন্দীগ্রামে জেতার ব্যাপারে তিনি কতটা আত্মবিশ্বাসী, সেকথা নিজে মুখেই বলেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। নন্দীগ্রামে ভোটের দিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘নন্দীগ্রাম নিয়ে চিন্তিত নই। গণতন্ত্র নিয়ে চিন্তিত। আমিই জিতছি। ৯০ শতাংশ ভোট পাবে তৃণমূল।’ সেদিন ভিকট্রি সাইনও দেখান মমতা। নন্দীগ্রামে ভোটের দিন সকাল থেকে সন্ধ্যা বারবার সংবাদমাধ্যমে শুভেন্দু দাবি করেছেন, তিনিই জিতছেন। ভোটের আগে শুভেন্দু তৃণমূলনেত্রীকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বলেছিলেন, ‘মাননীয়াকে আধলাখেরও বেশি ভোটে হারাব।’
অন্যদিকে, এদিন দিনহাটায় শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিলেন ভূষন সিংহ। তিনি কোচবিহার পুরসভার তৃণমূল কংগ্রেসের পুরপ্রশাসক ছিলেন। নিশিগঞ্জে মাথাভাঙা ও শিতলকুচি কেন্দ্রের দুই বিজেপি প্রার্থীর হয়ে সভা করেন শুভেন্দু।
Be the first to comment