রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতির জন্য মমতা বন্দোপাধ্যায়কেই ‘দায়ী’ করলেন শুভেন্দু অধিকারী। বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘এই পুরো বন্যা পরিস্থিতির জন্য উনিই (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) দায়ী।’ পাশাপাশি কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ‘এই মুখ্যমন্ত্রী ভাতা দেওয়ার কাজে ব্যস্ত।’ পাশাপাশি বাঁধ ভাঙার জন্য এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ডিভিসি-এর জল ছাড়ার কারণে হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হওয়ার পর শুভেন্দু বলেন, ‘গত ৩০-৪০ বছর ধরে প্রাক বর্ষার যে কাজ হয়, তা তিনি এবার করেননি। কারণ এই মুখ্যমন্ত্রী ভাতা দেওয়ার কাজে ব্যস্ত। ভবানীপুর উপনির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন, সেই জন্য এই ঘটনা ঘটেছে।’
‘এই সরকার ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি করে’ বলেও সরব হয়েছেন বিজেপি নেতা। বিস্ফোরক দাবি করে শুভেন্দু বলেন, ‘উনি নিজের মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ার বাঁচানোর জন্য ৫০ লাখ মানুষকে ভাসিয়েছেন।’ দুর্বল বাঁধ ভেঙে এই পরিস্থিতির তৈরি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
অন্যদিকে শনিবার বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আরামবাগে পৌঁছন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগে আকাশপথে এলাকার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন তিনি। এদিন DVC-এর উপর ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন মমতা। তিনি বলেন, ‘আমাদের কিছু না জানিয়েই জল ছাড়া হয়েছে। গত ৩০ সেপ্টেম্বর মধ্যারাত থেকে শুরু হয়েছে জল ছাড়া। মোট সাড়ে পাঁচ লাখ কিউসেক জল ছেড়েছে DVC। রাজ্যকে না জানিয়েই এই সিদ্ধান্ত। আমাদের সঙ্গে বসে একটা পরিকল্পনা করতে পারত।’
উল্লেখ্য, ডিভিসির ছাড়া জলে কার্যত প্লাবিত হয়েছে হাওড়ার উদয়নারায়ণপুর ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকা। দামোদরের কয়েকটি পয়েন্টে বাঁধ ভেঙে গিয়েছে। হুগলির আরামবাগে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় নেমেছে সেনা ও NDRF।
মমতার ‘ম্যান মেড বন্যার’র তত্ত্ব উড়িয়ে দিয়ে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘উনি বরাবর একই রেকর্ড চালান। নিজেরা দশ বছর আছেন। কিন্তু, এখনও বাঁধের মেরামতি করে উঠতে পারেননি। খালি দোষারোপ করে যান। কেন্দ্রীয় সরকার কেলেঘাই নদীর বাঁধ নির্মাণের জন্য তিন হাজার কোটি টাকা দিয়েছে। সেগুলি কী লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে চলে গিয়েছে?’
শনিবার লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে কটাক্ষ করেন শুভেন্দুও। তিনি বলেন, ‘ফেব্রুয়ারি, মার্চ মাসে যে প্রাক বর্ষার কাজ হয় তা মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী এবছর করতে দেননি, কারণ তাঁকে লক্ষ্মীর ভান্ডারের জন্য টাকা খরচ করতে হবে।’
Be the first to comment