একুশের ভোটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রাম থেকে লড়ার কথা ঘোষণা করার অব্যবহিত পরে তাঁকে হাফ লাখ ভোটে হারানোর চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। যদিও শেষ পর্যন্ত তৃণমূল সুপ্রিমোকে তিনি হারান ২ হাজারের কম ভোটে। আর শুক্রবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে উপনির্বাচনে লড়ার মনোনয়ন জমার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ফের তাঁকে নিশানা করলেন বিরোধী নেতা। তাঁর কটাক্ষ, সারাজীবন মমতাকে নন্দীগ্রামের হারের যন্ত্রণা বইতে হবে।
শনিবার তমলুকের নিমতৌড়ি স্মৃতিসৌধে দলীয় রক্তদান শিবিরে যোগ দিতে এসে শুভেন্দুর বক্তব্য, “নন্দীগ্রামে ছুটে চলে এসেছিলেন ভোটে দাঁড়াতে, কয়েকজনের কথা শুনে হেরেছেন। আমাকে সহ্য করতে পারে না। প্রচণ্ড যন্ত্রণা…যতদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাঁচবেন কানের কাছে সব সময় এই যন্ত্রণাই থাকবে যে শুভেন্দুর কাছে হেরেছি। এ যন্ত্রণা আপনাকে পিছু ছাড়বে না।”
শুভেন্দু এরপর বিজেপি প্রার্থীর সমর্থনে যোগ করেন, “পশ্চিমবঙ্গকে তালিবানের হাত থেকে রক্ষা করতে হলে বিজেপিকে ভোট দিতে হবে। একজন তৃণমূল প্রার্থী ‘খেলা হবে’ নাম করে এক লক্ষ বিজেপি কর্মীকে ঘরছাড়া করিয়েছেন। অপরদিকে আরেকজন বিজেপি প্রার্থী বাংলার অত্যাচারিত জনগণকে মাঠে ঘাটে ঘুরে ঘরে ঢুকিয়েছেন।” ভবানীপুরে বিজেপির আইনজীবী প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালকে সমর্থনে কটাক্ষের সুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করলেন বিরোধী দলনেতা।
উল্লেখ্য, শুক্রবার গণেশ চতুর্থীতে মনোনয়ন জমা দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই কেন্দ্রে এখন প্রচার চলছে জোরকদমে। ইতিমধ্যেই দেওয়াল লিখনের কাজ করতে দেখা গিয়েছে মদন মিত্র এবং শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কেও। এদিকে নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রে ১৯৬৫ ভোটে তৃণমূল সুপ্রিমোকে শুভেন্দু ফের ভবানীপুরে তাঁর মুখোমুখি হবেন কিনা এ নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছিল। যদিও তা নস্যাৎ করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর কটাক্ষ ছিল ‘শুভেন্দু তো একবার হারিয়েছেন, আর কতবার লড়বেন?’ এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণে গেলেন শুভেন্দু।
Be the first to comment