বিএসএফ ও রাজ্য পুলিশের মধ্যে ইচ্ছাকৃত ভাবে বিভেদ তৈরির চেষ্টা করছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনই অভিযোগ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুধু এই অভিযোগ করেই থামেননি তিনি। এ নিয়ে পদক্ষেপ করতে প্রধানমন্ত্রীর অফিস, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর টুইটার হ্যান্ডেলকে উদ্ধৃত করে অভিযোগ জানালেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক।
ঘটনার সূত্রপাত বেশ কিছুদিন আগে। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশিকায় সীমান্ত এলাকার ১৫ কিলোমিটার থেকে বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের ক্ষমতা বৃদ্ধি করা হয়েছে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত। যা নিয়ে তীব্র বিরোধিতা করেছে তৃণমূল। দলের সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও এনিয়ে একাধিকবার মন্তব্য করেছেন। এমনকি কিছুদিন আগে প্রধানমন্ত্রীর কাছেও এ নিয়ে দরবার করেছিলেন তিনি।
তবে বুধবার মালদহের প্রশাসনিক বৈঠকে একটি মন্তব্য করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার সেই ভিডিয়ো ক্লিপ তুলে ধরে টুইট করলেন শুভেন্দু। তিনি টুইটারে লেখেন, বারবার একই অপরাধ করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইচ্ছাকৃত ভাবে বিএসএফ ও পুলিশের মধ্যে ব্যবধান তৈরি করতে চাইছেন। এরপর এই ব্যাপারটি বিবেচনার জন্য প্রধানমন্ত্রীর অফিস, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক, প্রতিরক্ষা মন্ত্রককে উদ্ধৃত করেন তিনি। একই সঙ্গে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কের টুইটার হ্যান্ডেলও উল্লেখ করেছেন রাজ্যের বিরোধী নেতা।
টুইটের সঙ্গে যে ভিডিয়োটি তিনি পোস্ট করেছেন সেটা বুধবারের প্রশাসনিক বৈঠকের। সেখানে এক পুলিশ আধিকারিককে উদ্দেশ্য করে রাজ্যের পুলিশ মন্ত্রীকে বলতে শোনা যায়, “তোমাদের ওখানে একটা প্রবলেম আছে। বিএসএফ ঢুকে যায় গ্রামে গ্রামে। আর গিয়ে সাধারণ মানুষের উপরে… অনেক সময় কমপ্লেন আসে অত্যাচারের। এমনকি ভোটের সময় ভোটের লাইনেও তাদের দেখা যায়। তোমরা কি কখনও বিএসএফের ডিজির সঙ্গে কথা বলেছো?”
মুখ্যমন্ত্রী এও যোগ করেন, “মুর্শিদাবাদ, মালদা, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর প্রচুর বিএসএফ পুলিশকে না জানিয়ে যেখানে সেখানে ঢুকে যায়… এরা লোকাল পুলিশকে না জানিয়ে ঢুকে যায়… আমাদের আইসিরা ভাবেন না না ছেড়ে দিই। কে কে ছেড়ে দেন?… ” এই ভিডিয়ো পোস্ট করে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিএসএফ ও রাজ্য পুলিশের মধ্যে দ্বন্দ্ব তৈরির অভিযোগ করেন শুভেন্দু।
বুধবারও শুভেন্দু মন্তব্য করেছিলেন, “যারা দেশকে সুরক্ষা দেন,মাননীয়ার সবসময় টার্গেটে থাকেন। বিএসএফ নাকি বাইরের লোক। কতটা তিনি সংবিধানকে অপমান করছেন। কিমির কথা বলে তিনি কেন্দ্রীয় সার্কুলারকে ভায়োলেট করেছে। মুখ্যমন্ত্রী পুলিশ ও বিএসএফের মধ্যে দ্বন্দ্ব তৈরির চেষ্টা করছেন। এটা করে জঙ্গিবাদ, নারী পাচার, গরু পাচারকারীদের উৎসাহিত করছেন। রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও রাজ্যপালের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।” আর তার পরেই বৃহস্পতিবারের এই টুইট।
Be the first to comment