কয়লাকাণ্ডে প্রভাবশালী যোগের অভিযোগ শুভেন্দুর

Spread the love

রাজ্য সরকারকে তুলোধনা করতে ঢাকঢোল পিটিয়ে সাংবাদিক বৈঠক দেগেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তবে দিনের শেষে তা হয়ে দাঁড়ালো ‘অশ্বডিম্ব’। রাজ্যে কয়লা দুর্নীতি নিয়ে গালভরা ভাষণ দিলেন। শেষে এক অজ্ঞাত পরিচয় প্রভাবশালী এই দুর্নীতির অন্যতম পান্ডা বলে আঙুল তুললেন তিনি। তবে কে তিনি তা অবশ্য স্পষ্ট করলেন না রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। সব মিলিয়ে শুভেন্দুর ডাকা ‘অশ্ব ডিম্বের’ সাংবাদিক বৈঠকে ধোঁয়াশাই বাড়লো। তবে ‘মেঘের আড়ালে থাকা’ এই অজ্ঞাত পরিচয় প্রভাবশালী আদতে কে তা জানতে চেয়েছে তৃণমূলও। পাল্টা তোপ দেগে বলা হয়েছে, ‘দম থাকলে নাম বলুন বিরোধী দলনেতা।’

শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে কয়লা পাচার দুর্নীতি নিয়ে শুভেন্দু অভিযোগ করেন, কয়লা পাচার কাণ্ড আদতে একটি চক্র। দুর্নীতির মোট অঙ্ক ২ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। গুরুপদ মাঝির নাম চার্জশিটে উল্লেখ আছে। তার মধ্যে ১ হাজার কোটি টাকা রাজ্যের প্রভাবশালী এক রাজনীতিকের কাছে গিয়েছে। ওই ব্যক্তির কোনও নাম উল্লেখ করেননি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। তবে তাঁর দাবি, ওই প্রভাবশালী ব্যক্তি রাজ্য প্রশাসনের অন্যতম নিয়ন্ত্রক। শুভেন্দুর এহেন ধোঁয়াশা ভরা সাংবাদিক বৈঠকের পর কড়া সুরে তাঁকে তোপ দেগেছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ।

পাল্টা সাংবাদিক বৈঠকে শুভেন্দুকে রীতিমতো আক্রমণ শানিয়ে কুণাল বলেন, “অভিষেক ফবিয়ায় ভুগছে। তবে অভিষেকের নাম নেওয়ার সাহস পাচ্ছে না। অদ্যান্ত মিথ্যাচারী দুর্নীতিতে ডোবা চোর, ব্ল্যাকমেলার, তোলাবাজ ঘুষখোর, সিবিআই এফআইআর নেম, সারদাকাণ্ডে সুদীপ্ত সেনের বয়ানে ব্ল্যাকমেলার, তোলাবাজ, ডাকাত। ব্যক্তিগত হতাশা রাজনীতি থেকে কথা বলছেন। তদন্তের জন্য কোর্ট আছে তাহলে এটা কেমন তদন্ত যেখানে বিরোধী দলনেতাকে বিধানসভায় বসে সাংবাদিক বৈঠক করতে হচ্ছে। ইঙ্গিতে কারো দিকে অভিযোগের আঙ্গুল তোলা হচ্ছে। দম থাকলে নাম বলুক। শুভেন্দু চোর, তোলাবাজ, দলবদলু, মিথ্যেবাদী। আমি বললাম শুভেন্দু আমার নামে মামলা করুক। যদি তথ্য প্রমাণ থাকে তাহলে তদন্তকারী সংস্থা চার্জশিট দিক। ব্যক্তি আক্রোশ মেটাতে ইঙ্গিতে কারো বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযোগ আনা হচ্ছে। ও আসলে পাগল।”

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*