বিজেপি-তে যোগদানের পর এটাই ছিল নন্দীগ্রামে তাঁর প্রথম রাজনৈতিক কর্মসূচি৷ ফলে শুভেন্দু অধিকারী কী বলেন, সেদিকে নজর ছিল রাজনৈতিক মহলের৷ কিন্তু কার্যত সবাইকে অবাক করে দিয়ে সভা থেকে প্রায় কিছুই বললেন না শুভেন্দু৷ শুধু অভিযোগ করলেন, এ দিন নন্দীগ্রামে বিজেপি-র সভায় ঢিল মেরেছে তৃণমূল৷
শুভেন্দু বলেন, ‘আমি সিপিএমের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি৷ কিন্তু তারাও কোনওদিন তৃণমূলের সভায় ঢিল মারেনি৷ আজকে আমরা সেই দৃশ্যও দেখলাম! বিভিন্ন জায়গায় বিজেপি কর্মীদের গাড়ি আটকানো হয়েছে, বাধা দেওয়া হয়েছে৷’
শুভেন্দু আরও জানান, অন্ধকার নামলেই সভায় আসা বিজেপি কর্মীদের উপরে হামলা চালানো হতে পারে৷ এই আশঙ্কা থেকেই নিজে দীর্ঘ বক্তব্য না রেখে দ্রুত সভা শেষ করে দেন বিজেপি নেতা৷ তিনি জানান, যতক্ষণ না কর্মীরা বাড়িতে পৌঁছবেন তিনি নন্দীগ্রাম ছাড়বেন না৷
শুভেন্দু জানান, তৃণমূল কংগ্রেস ৭ জানুয়ারি নন্দীগ্রামে সভা ডেকেছিল৷ সেই সভায় থাকার কথা ছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তৃণমূল সেই সভা পিছিয়ে ১৮ জানুয়ারি করবে বলে জানিয়েছে৷ এর পাল্টা আগামী ১৯ জানুয়ারি খেজুরিতে সভা করে মমতার সভার জবাব দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শুভেন্দু৷
এ দিন নন্দীগ্রামে শুভেন্দুর সভার শুরু থেকেই বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়৷ সভায় আসা জনতার একাংশ গন্ডগোলে জড়িয়ে পড়ে৷ শুভেন্দুর অভিযোগ সভার পিছন দিকে ঢিল মেরে ভয় দেখানোর চেষ্টা হয়েছে৷ বার বার কর্মী, সমর্থকদের শান্ত হওয়ার আবেদন জানান বিজেপি নেতা৷
এ দিন নন্দীগ্রামের সভায় প্রায় ১ লক্ষ মানুষের ভিড় হবে বলে দাবি করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী৷ নন্দীগ্রামের দু’টি ব্লক ছাড়াও জেলার অন্যান্য অংশ থেকেও প্রচুর বিজেপি সমর্থক সভায় এসেছিলেন৷
Be the first to comment