বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। নন্দীগ্রাম আসন থেকে খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পরাজিত করেছেন তিনি। এবার তাঁর নিরাপত্তা সংক্রান্ত ব্যাপারে রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব করল হাইকোর্ট। ঠিক কী কারণে শুভেন্দু অধিকারীর নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছিল? আবার কী কারণে তা তুলে নিল রাজ্য তা জানতে চেয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নিরাপত্তা সংক্রান্ত ব্যাপারে এবার রাজ্য সরকারের কাছে রিপোর্ট তলব করেছে হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবারের মধ্যেই রাজ্যকে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি শিবকান্ত প্রসাদ।
এদিকে রাজ্যে কারা কারা নিরাপত্তা পান সেটাও জানতে চেয়েছে আদালত। এদিন শুনানি পর্বে বিচারপতি জানিয়েছেন, তিনি একজন রাজনৈতিক নেতা। কোনও সরকারি কর্মচারী নন। শক্তিশালী বিরোধী দলের নেতা। এটাও রাজ্যকে মনে রাখতে হবে।মানুষকে সাহায্য করতে তিনি বিভিন্ন জায়গায় যাবেন। সেক্ষেত্রে কেন রাজ্যের সঙ্গে যোগাযোগ থাকবে না। আগামীকাল(বৃহস্পতিবার) বিষয়টি রাজ্যকে জানাতে হবে।
প্রসঙ্গত, বিগত দিনে রাজ্যের মন্ত্রী ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। সেই সময় তিনি জেড প্লাস ক্যাটাগরির নিরাপত্তা পেতেন। রাজ্যের তরফে তিনি এই নিরাপত্তা পেয়েছিলেন। তবে মন্ত্রীত্ব ছেড়ে দেওয়ার আগেই তিনি রাজ্যের দেওয়া নিরাপত্তা ছেড়ে দেন। তবে রাজ্যপুলিশের নিরাপত্তা অবশ্য় তাঁর জন্য বহাল ছিল। এরপর বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর তিনি কেন্দ্রের দেওয়া জেড প্লাস নিরাপত্তা পান।
এদিকে বিরোধী দলনেতা নির্বাচিত হওয়ার পর চলতি মাসে হাইকোর্টে আবেদন করে শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছিলেন, রাজ্য সরকার তাঁকে একজন পূর্ণমন্ত্রী সমতুল্য নিরাপত্তা দেয়নি। সংবিধানের বিধি অনুসারে তাঁর এটি প্রাপ্য। তবে বিচারপতি এদিন আবেদনকারীর আইনজীবীর কাছে জানতে চান মামলাকারী জেড নিরাপত্তা পান। তারপরেও কেন অতিরিক্তি নিরাপত্তা প্রয়োজন?
Be the first to comment