যে আন্দোলন ২০১১ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর অনেকাংশে সাহায্য করেছে সিঙ্গুরের আন্দোলন ৷ সেই আন্দোলনের জমি অধিগ্রহণের পরও শুরু করা যায়নি টাটার গাড়ি কারখানা ৷ মঙ্গলবার এর জন্য সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করলেন শুভেন্দু অধিকারী ৷
এদিন নন্দীগ্রাম-১ ব্লকে ভারতীয় জনতা পার্টির কর্মিসভা ছিল ৷ ওই কর্মীসভায় ভাষণ দিতে সিঙ্গুর ইস্যুতে মমতাকে আক্রমণ করলেন শুভেন্দু ৷ তিনি সরাসরি বললেন, সিঙ্গুরে শিল্প তাড়িয়েছেন ৷ সেই কারণে মমতাকে কেউ সমর্থন করেনি বলে তিনি দাবি করেছেন ৷
পাশপাশি তিনি স্পষ্ট করেছেন যে পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামে যে আন্দোলন হয়েছিল, সেই আন্দোলন আসলে শিল্পবিরোধী ছিল না ৷ নন্দীগ্রামে বিজেপির প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, নন্দীগ্রামের মানুষ শিল্প চায় ৷ কিন্তু কেমিক্যাল হাব চায় না ৷
একই সঙ্গে শুভেন্দু জানিয়ে দিয়েছেন যে তিনি এখন নন্দীগ্রামের ঘরের ছেলে ৷ কারণ, তিনি নন্দীগ্রামের ভোটার৷ তাঁর দাবি, নন্দীগ্রামের নন্দনায়কবাড়ে ৯ বছর ধরে তাঁর অফিস ৷ ওখানেই তিনি মানুষের পরিষেবা দেন ৷ ওই ঠিকানায় এবার নন্দীগ্রামের ভোটার হয়েছেন ৷
এই সূত্রে তিনি সমালোচনা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ৷ নন্দীগ্রামের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিছুই করেননি বলে তিনি অভিযোগ করেছেন ৷ তাঁর দাবি, নন্দীগ্রামকে মমতা কোনওদিন স্বীকার করেননি ৷ সিঙ্গুর থেকে চোখ ঘুরিয়ে দেওয়ার জন্য নন্দীগ্রাম করা হচ্ছে, সেই সময় মমতা এমন বলেছেন ৷ একই সঙ্গে তাঁর দাবি, কলকাতায় জমি অধিগ্রহণের বিরুদ্ধে অনশন করতে গিয়ে মমতা পর্দার পিছনে খেয়েছেন ৷ নন্দীগ্রামের আন্দোলনে মমতার চেয়ে প্রয়াত মহাশ্বেতা দেবীর অবদান অনেক বেশি ৷
Be the first to comment