আগামী মাসে বাংলায় আসছেন বিজেপি সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। বৃহস্পতিবার টুইট করে নিজেই সেই খবর জানালেন তিনি। বুধবার দিল্লিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাতের পরই তাঁর এই ঘোষণা ঘিরে বেড়েছে জল্পনা। বিজেপি সাংসদের সঙ্গে থাকবে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের একটি দল।
বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে অশান্তির অভিযোগ এনে বারবার সরব হয়েছে বিজেপি। এমনকী, এ রাজ্যে হিন্দুরা কোণঠাসা বলেও দাবি করেছেন গেরুয়া শিবিরের একাধিক নেতা। মনে করা হচ্ছে. তাঁদের সেই দাবির সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন খোদ বিজেপি সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। তাঁর দাবি, সেই সমস্ত অভিযোগের সত্যতা যাচাই করতেই এ রাজ্যের আসবেন তিনি। তথ্যের সত্যতা যাচাই করতে রাজ্যের সরকারি আধিকারিকদের সঙ্গে কথাও বলবেন। টুইটারে তিনি লেখেন, “তিন বছর আগে তারকেশ্বর মন্দির ইস্যুতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সদার্থক প্রতিক্রিয়া এখনও আমার মনে আছে।”
দিল্লিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকের পরই টুইটারে তৃণমূল নেত্রীর ভূয়সী প্রশংসা করেন বিজেপির ‘বিক্ষুব্ধ’ সাংসদ। এমনকী মমতাকে রাজীব গান্ধী, মোরারজি দেশাইদের সঙ্গে একই সারিতে বসান তিনি। এর পর বৃহস্পতিবার সকালে মোদি সরকারের বিভিন্ন নীতির তীব্র সমালোচনা করেন তিনি। লেখেন, “মোদি সরকারের রিপোর্ট কার্ড….. অর্থনীতিতে ব্যর্থ, সীমান্ত সুরক্ষায় ব্যর্থ, বিদেশনীতিতে আফগানিস্তান ব্যর্থতা। জাতীয় সুরক্ষায় পেগাসাস এনএসও কাণ্ড। আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার ক্ষেত্রে কাশ্মীর নিয়ে অস্পষ্টতা। এসবের জন্য দায়ী কে? সুব্রহ্মণ্যম স্বামী?”
দু’বার মন্ত্রিসভার দায়িত্ব পেলেও মোদির নতুন মন্ত্রিসভায় ঠাঁই হয়নি তাঁর। সমালোচকদের দাবি, সেই কারণেই তিনি বারবার সরব কেন্দ্রের বিরুদ্ধে। এর আগেও পছন্দের মন্ত্রক না পেয়ে সরকারের সমালোচনা করতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। পরে দলের ৮০ সদস্যের কার্যসমিতির কমিটির তালিকা থেকেও বাদ পড়েন তিনি। এর পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর এই সাক্ষাৎ ঘিরে বেড়েছে জল্পনা। তাহলে কংগ্রেস থেকে বিজেপি ঘুরে এবার কি তৃণমূলের পথে বিক্ষুধ্ব বিজেপি সাংসদ, উঠছে প্রশ্ন।
Be the first to comment