এসএসসি-র প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্যের জামিনের আবেদন জানালেন আইনজীবী। বয়স এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা দেখে জামিনের আর্জি জানালেন সুবীরেশের আইনজীবী। পাল্টা জেল হেফাজতের আবদেন জানায় সিবিআই। সোমবার সকালে আলিপুর আদালতে ভার্চুয়ালি হাজির করানো হয় সুবীরেশকে।
এদিন শুনানির সময়ে সিবিআই স্পষ্টত বলেছে, ৩৮১ জন চাকরিপ্রার্থী, যাঁদের মার্কশিটে নম্বর বদল করা হয়েছিল, তা হয়েছিল সুবীরেশের নির্দেশেই। অর্থাৎ তাঁরা কম নম্বর পেলেও, তাঁদের নম্বর বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। আর সেই বর্ধিত নম্বরের ভিত্তিতেই তৈরি হয় ‘রেকমেনডেশন লেটার’,আর তার ভিত্তিতেই তৈরি হয়েছিল নিয়োগপত্র। তাঁরা চাকরি পেয়েছিলেন। সিবিআই-এর বক্তব্য, গোটা প্রক্রিয়াটা হয়েছিল সুবীরেশের নির্দেশেই। আদালতের সামনে গোটা বিষয়টি সিবিআই-এর তরফে তুলে ধরা হয়। এই বিষয়টিকে হাতিয়ার করেই সিবিআই সুবীরেশের জামিনের বিরোধিতা করে। সিবিআই-এর তরফে আইনজীবী বলেন, সুবীরেশ ভট্টাচার্য এই বৃহত্তর দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত। তিনি এই দুর্নীতির ‘অ্যাক্টিভ পার্ট’ছিলেন, সবটাই জানতেন। এই মুহূর্তে তাঁকে জামিন দেওয়া হলে, তদন্ত প্রভাবিত হতে পারে। সাক্ষীদেরও ভয় দেখানো হতে পারে। তথ্য প্রমাণও লোপাট হতে পারে। গোটা বিষয়টি সিবিআই জানায়। সঙ্গে এও বলা হয়, প্রয়োজনে তদন্তকারীরা জেলে গিয়েও সুবীরেশকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবেন।
অন্যদিকে সুবীরেশ ভট্টাচার্যের আইনজীবী তমাল মুখোপাধ্যায় সওয়াল করেন, তাঁর শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। তাঁর হাই সুগার, উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে। সুবীরেশের আইনজীবীর পাল্টা সওয়াল, তাঁর মক্কেল দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত নন, বরং এসএসসি নিয়োগের ক্ষেত্রে তাঁর ভূমিকাও সীমিত ছিল। সুবীরেশের আইনজীবীর বক্তব্য, তাঁর মক্কেলকে না জানিয়েই, ডিজিট্যাল সিগনেচার ব্যবহার করে দুর্নীতি করা হয়েছে। তাঁকে যে কোনও শর্তে জামিন দেওয়া হোক, তদন্তে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত সুবীরেশ।
উল্লেখ্য, এদিন সওয়ালের সময়ে সুবীরেশ ভট্টাচার্যের আইনজীবী বলেন, “সুবীরেশবাবু জেলের খাবার খেতে পারছেন না। তাঁকে ডায়েট অনুযায়ী খাবার দেওয়া হয়।”
বিচারক এদিন দুপক্ষের বক্তব্যই শুনেছেন। কেস ডায়েরি খতিয়ে দেখছেন। এই মুহুর্তে অর্ডার রিজার্ভ রেখেছেন বিচারক। সুবীরেশের জামিন হয় না জেল, তা সোমবার বিকালেই ভারপ্রাপ্ত সিজেএম আদালত থেকে জানা যাবে।
Be the first to comment