আগামী ১০ দিনের মধ্যে বিধানসভা ভোটের দিন ঘোষণা হতে পারে বলে শনিবার ইঙ্গিত দিলেন পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। শুক্রবার রাজ্যের ১১১ টি পুরসভায় নির্বাচন দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। আদালতের সেই নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতেই এদিন তৃণমূল কংগ্রেস ভবনে সাংবাদিক বৈঠেক সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, রাজ্য সরকার পুরভোট করাতে প্রস্তুত রয়েছে। তবে আগামী ১০ দিনের মধ্যে পুরনির্বাচন সম্ভব নয়, কারণ বিধানসভা ভোটের দিন ঘোষণা হতে পারে।
২০২০-এর মার্চ-এপ্রিল মাসে পুরভোট হওয়ার কথা হলেও, করোনার কারণে তা স্থগিত হয়ে যায়। এরপর দীর্ঘ লকডাউনের জন্য তা স্থগিত হয়ে যায়। ফলে বিভিন্ন পুরসভা ও পুরনিগমে বসেছে প্রশাসক। তারপর আনলক পর্ব শুরু হলেও এখনও পর্যন্ত পুরভোট হয়নি।
হাওড়া পুরনিগমে ভোট করানোর দাবি নিয়ে বামেরা কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করে। সেই মামলার রায়ে শুক্রবার বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, অবিলম্বে সমস্ত প্রয়োজনীয় কাজ শেষ করে হাওড়া পুরনিগমে নির্বাচন করাতে হবে রাজ্য সরকারকে। তবে সেজন্য কোনও সময়সীমা দেয়নি আদালত।
অন্যদিকে বিধানসভা ভোটের আগে রাজ্যে পুরভোট নিয়ে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা বহরমপুরের সাংসদ অধীর চৌধুরী। ভারতের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল আরোরাকে চিঠি লিখে তিনি অভিযোগ জানিয়েছেন যে, বিধানসভা ভোটে নিজেরা সুবিধা নিতেই পুরভোট করাচ্ছে না তৃণমূল। উল্লেখ্য, মুর্শিদাবাদ জেলায় ৮টি পুরসভা রয়েছে।
এখন পুরবোর্ডের মেয়াদ শেষের পর বেশিরভাগ পুরসভায় চেয়ারম্যান পদে থাকা ব্যক্তি-ই এখন পুর প্রশাসকের দায়িত্বে। যার তীব্র বিরোধিতা করেছেন অধীর চৌধুরী। জুন মাসে ফুরিয়ে যায় কলকাতা পুরসভার মেয়াদ। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির জন্য নির্বাচন করা সম্ভব হয়নি।
এদিকে, পুরভোট করানো নিয়ে রাজ্য সরকারের কোনও সমস্যা নেই বলে এদিন সাফ জানিয়ে দেন সুব্রত মখোপাধ্যায়। তিনি এদিন বলেন, রাজ্য সরকার পুরভোট করাতে প্রস্তুত রয়েছে। তবে আগামী ১০ দিনের মধ্যে পুরনির্বাচন সম্ভব নয়, কারণ বিধানসভা ভোটের দিন ঘোষণা হতে পারে।
রাজ্যে বিধানসভা ভোটের দামামা বেজে গিয়েছে। কোমর-বেঁধে রাজনৈতিক প্রচারে নেমে পড়েছে সব দল। একদিকে ‘উন্নয়ন’-কে হাতিয়ার করে ক্ষমতা ধরে রাখতে সচেষ্ট শাসকদল তৃণমূল। অন্যদিকে, শাসকদলের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগ তুলে ভোট ময়দানে বিজেপি।
একুশের ভোটে বাংলা দখল করতে মরিয়া গেরুয়া শিবির। পিছিয়ে নেই বাম-কংগ্রেস। একুশের ভোটে জোট করে লড়াই করছে দুই দল। নিজেদের মতো করে কর্মসূচি সাজিয়ে জনসংযোগ বাড়ানোর কাজে ব্যস্ত দু’পক্ষ।
Be the first to comment