‘রাজ্যপালকে সরান, সংসদীয় গণতন্ত্র বিপদের মুখে’, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে জানালো তৃণমূল প্রতিনিধি দল

Spread the love

বগটুই কান্ড নিয়ে উত্তপ্ত রাজনৈতিক পরিস্থিতির মধ্যেই বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করলেন তৃণমূল সাংসদদের একটি প্রতিনিধি দল। দলের নেতৃত্বে ছিলেন, লোকসভায় তৃণমূল সংসদীয় দলের নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন। বীরভূমের এই গ্রামের মর্মান্তিক ঘটনা নিয়ে বিগত কয়েকদিন ধরেই রাজনৈতিক চাপানউতোর তুঙ্গে। বিরোধীদের দাবি, রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি একেবারেই ভেঙে পড়েছে। বগটুই কান্ডের পর স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে প্রশ্ন চিহ্নের মুখে দাঁড় করিয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়।

এদিন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে রাজ্যপালকে নিয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন জানিয়েছেন তৃণমূল সাংসদরা। অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করে বেরিয়ে সুদীপ বলেন, “আমরা বলেছি পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপালকে এখনই সরিয়ে দেওয়া উচিৎ। বীরভূমের রামপুরহাট ইস্যুতে তিনি যে ভূমিকা পালন করেছেন, তা সাংবিধানিক নিয়মের পরিপন্থী। সংসদীয় গণতন্ত্র গুরুতর বিপদের মুখে রয়েছে।”

রামপুরহাট ইস্যুতে রাজ্য সরকার যে হাত গুটিয়ে বসে নেই, সেই কথাও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানিয়েছেন তৃণমূল সাংসদরা। “রাজ্যপালকে লেখা মুখ্যমন্ত্রীর চিঠির একটি প্রতিলিপি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে দেওয়া হয়েছে। খোদ মুখ্যমন্ত্রী পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছেন এবং দারুণভাবে পদক্ষেপ নিয়েছেন। এখনও অবধি ২১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, ১৫ জন পুলিশ আধিকারিক ও কর্মীকে ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। কোনও দোষীকেই ছেড়ে দেওয়া হবে না।” বলেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। সুদীপ, ডেরেক ছাড়াও মহুয়া মৈত্র, জওহর সরকার, শতাব্দী রায়, অসিত মালের মতো তৃণমূল সাংসদরা এই প্রতিনিধি দলে ছিলেন। তৃণমূল সাংসদরা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানিয়েছেন এই ঘটনা নিয়ে রাজনীতি হওয়া উচিৎ নয়, কারণ সরকার প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপই নিয়েছে।

বগটুই কান্ডে রীতিমতো সরগরম জাতীয় রাজনীতি। বীরভূমের রামপুরহাটের এই গ্রামে বেশ কয়েকজন গ্রামবাসীর বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছিল অগিকান্ডের ঘটনায় মহিলা শিশু সহ মোট ৮ জন প্রাণ হারিয়েছেন। তবে বেসরকারি সূত্র মতে মৃতের সংখ্যাটা ১০। বগটুই ইস্যুকে সামনে রেখেই পশ্চিমবঙ্গ সরকার তথা তৃণমূলের বিরুদ্ধে মাঠে নেমে পড়েছে বিরোধীরা। তাদের দাবি ছিল, বাংলার শাসকদলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের ফলে এই নারকীয় হত্যাকান্ড ঘটেছে। সংসদে বিষয়টি উত্থাপন করে বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি জানিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরীও তৃণমূল সরকারকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করে ৩৫৫ ধারা প্রয়োগের দাবি জানিয়েছিল। জাতীয় স্তরে তৃণমূলের ওপর চাপ ক্রমেই বাড়ছিল।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*