গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে সামনে এসেছিল নারদা-কাণ্ড। একের পর এক নেতার-মন্ত্রীর হাতে টাকা তুলে দেওয়ার ভিডিও ফাঁস হয়েছিল সংবাদমাধ্যমে। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে হলেও ক্রমশ সরগরম হচ্ছে বাংলার রাজনীতি। এবার বোমা ফাটালেন সারদা কেলেঙ্কারির নায়ক সুদীপ্ত সেন। একুশের আগে সুদীপ্ত বোমা ফাটালেন চিঠি লিখে।
কয়েকদিন আগেই সারদা চিটফান্ডকাণ্ডের তদন্তে সিবিআইয়ের হাতে এসেছিল একটি অডিও ক্লিপ। ওই অডিওক্লিপে একাধিক ব্যক্তির কণ্ঠস্বর শুনতে পাওয়া যায়। এবার লিখলেন চিঠি। চিঠিতে তিনি লিখেছেন, মুকুল রায়, শুভেন্দু অধিকারী থেকে শুরু করে অধীর চৌধুরী, বিমান বসু ও সুজন চক্রবর্তীর নাম। প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা সেই চিঠিতে তিনি লিখছেন, মুকুল রায়, শুভেন্দু অধিকারী, অধীর চৌধুরী, বিমান বসু ও সুজন চক্রবর্তীকে তিনি প্রচুর টাকা দিয়েছেন।
কাকে কত টাকা দিয়েছেন তাও তিনি চিঠিতে সবিস্তারে উল্লেখ করেছেন বলে জানা গিয়েছে। এই চিঠি প্রকাশ্যে আসার পর রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। সুদীপ্তর চিঠিতে রয়েঠে বাম-কংগ্রেস নেতাদের নামও সুদীপ্তর চিঠিতে রয়েছে বাম-কংগ্রেস নেতাদের নামও।
সূত্রের খবর, ওই চিঠিতে সুদীপ্ত সেন উল্লেখ করেছেন বিধানসভরা বামপরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তীকে ৯ কোটি টাকা দিয়েছেন। আর তৃণমূলের শুভেন্দু অধিকারী এবং কংগ্রেসের অধীর চৌধুরীকে দিয়েছেন ৬ কোটি করে, বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুকে দিয়েছেন ২ কোটি টাকা। এছাড়া আরও একজন রয়েছেন এই তালিকায়। তিনি হলেন মুকুল রায়।
মুকুল রায়কে নিয়ে সুদীপ্ত সেন লিখেছেন, তৃণমূলের প্রাক্তন সেকেন্ড ইন কমান্ড তথা বর্তমান বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি মুকুল রায়কে কত টাকা দিয়েছেন, তা তিনি মনে করতে পারছেন না। তবে তাঁকে মোটা অঙ্কের টাকা দিয়েছেন বলে উল্লেখ করেছেন সুদীপ্ত সেন।
সূত্রের খবর, এই চিঠি কারা দফতরের মাধ্যমে এডিজির কাছে পৌঁছেছে। সেখান থেকে তা মুখ্যমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর দফতরে পাঠানো হয়েছে।
তবে এই চিঠি সাদা চোখে দেখা হচ্ছে না। এর পিছনে সুপ্ত রাজনীতি আছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। চিঠর বয়ান সুদীপ্ত সেনের লেখা কি না তা স্পষ্ট নয়। হাতের লেখা কার, তা পরীক্ষা করবে সিবিআই। চিঠি পাঠানো হবে গ্রাফোলজিস্টের কাছে।
Be the first to comment