কাশ্মীরের সাংবাদিক সুজাত বুখারিকে খুনের পরিকল্পনা হয়েছিল পাকিস্তানে। জম্মু কাশ্মীরের পুলিশ জানিয়েছে, এই হত্যাকাণ্ডের পিছনে লস্কর ই তৈবা। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক করে তারা জানিয়েছে, লস্করের চার খুনিই সুজাতকে ও তাঁর দেহরক্ষী দুই পুলিশ কনস্টেবলকে গুলি করে হত্যা করে। তাদের নাম সাজ্জাদ গুল, আজাদ আহমেদ মালিক, মুজফফর আহমেদ ও নভেদ জাট। সাজ্জাদ কাশ্মীরী। সে ২০১৭ সালের মার্চে পাকিস্তানে চলে যায়। সে আগে দিল্লি পুলিশের হাতে গ্রেফতর হয়েছিল। নানা অপরাধে ধরা পড়েছিল জম্মু কাশ্মীর পুলিশের হাতেও। সে এই খুনের পর ফের পাকিস্তানে পালিয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। সুজাতের বিরুদ্ধে সে সোশাল মিডিয়ায় লাগাতার প্রচার চালিয়েছিল, তার প্রমাণ রয়েছে। এই চারজনের নামে জামিন অযোগ্য ওয়ারেন্ট এবং ইন্টারপোলের রেড কর্নার নোটিশের জন্য পুলিশ চেষ্টা করছে। নভেদ ধৃত অবস্থায় ফেব্রুয়ারিতে শ্রীনগরের হাসপাতাল থেকে পালিয়েছিল। এছাড়াও জুবেইর নামে একজনের বিষয়েও তদন্ত চলছে। সে হত্যাকাণ্ডের পর দেহরক্ষীদের অস্ত্র নিয়ে পালাচ্ছিল। তার কাছ থেকে পিস্তল উদ্ধার হয়েছে। গত ১৪ জুন শ্রীনগরে খুন হয়েছিলেন সুজাত। এরমধ্যে অবশ্য লস্কর এক বিবৃতিতে এই ঘটনায় তাদের জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে। তারা তৃতীয় কোনও দেশকে দিয়ে নিরপেক্ষ তদন্তে রাজি বলেও বিবৃতিতে জানানো হয়েছিল।
Be the first to comment