SSC নিয়োগ দুর্নীতির প্রতিবাদে শনিবার পথে নেমেছিল রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। হাজরা মোড়ের সামনে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে মিছিল আটকে দেয় পুলিশ। এনিয়ে তুমুল উত্তেজনা তৈরি হয় হাজরা মোড়ে। আটক করা হয় সুকান্ত মজুমদারকে। রবিবারও রইল সেই ঘটনার রেশ। শনিবার তাঁকে আটকের প্রতিবাদে টুইট করে রাজ্য পুলিশের সমালোচনার পাশাপাশি সুকান্ত নিজের আঘাতের ছবিও শেয়ার করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। পালটা তৃণমূলও তাঁকে জবাব দিল। দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের পালটা দাবি, উনি প্রচারে থাকার জন্য এসব করছেন।
শনিবার এসএসসি দুর্নীতির প্রতিবাদে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির সামনে পোস্টার লাগানোর কর্মসূচি নিয়েছিল রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। সেইমতো ‘চোর ধরো, জেল ভরো’ স্লোগান তুলে হাজরা মোড়ে জড়ো হয়েছিলেন বিজেপি কর্মীরা। ছিলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও। কিন্তু তাদের সেই পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। পুলিশ মিছিল আটকে দেয় সেখানেই। সুকান্ত মজুমদারের নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি হয়। পরে তাঁকে প্রিজন ভ্যানে করে লালবাজারে নিয়ে যাওয়া হয়।
রবিবার তাঁর উপর ‘পুলিশি অত্যাচারে’র নমুনা তুলে ধরে টুইট করেন সুকান্ত মজুমদার। গতকালের অশান্তিতে তাঁর হাতে কালশিটে পড়েছিল। সেই ছবি টুইট করে তিনি লেখেন, ”গতকালের প্রতিবাদে রাজ্য পুলিশের আচরণের নমুনা। আমার হাতে আঘাত লেগেছে। কিন্তু এই আঘাত আমাকে বা বিজেপির কোনও কার্যকর্তাকে দমিয়ে রাখতে পারবে না। আমরা দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করবই। মানুষের জন্য আন্দোলন জারি থাকবে।” এরপর রবিবার দুপুরে তিনি ধর্মতলায় এসএসসি চাকরিপ্রার্থীদের ধরনামঞ্চে যান। তাঁর সঙ্গে ছিলেন আরেক বিজেপি নেতা কল্যাণ চৌবে। চাকরির দাবিতে তাঁরাও আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বসে স্লোগান তোলেন।
এসএসসি ইস্যুতে রাজ্য বিজেপি সভাপতির এহেন প্রতিক্রিয়ার পালটা জবাব দিয়েছে তৃণমূলও। দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের বক্তব্য, ওঁর প্রতিযোগিতা দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারীদের সঙ্গে। তাই নিজের দলের ওই দু’জনকে সরিয়ে নিজে প্রচারে আসার জন্য এসব করছেন।
Be the first to comment